ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হলেন জবি অধ্যাপক
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:০৯ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৪
বোনম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ওই অধ্যাপকের নাম ড. শিল্পী খানম। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মরণঘাতী ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেন তিনি।
রবিবার (২৬ মে) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ড. শিল্পী খানম।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওনার সহকর্মী অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম (জলি)। তিনি বলেন, আমি মাত্রই শুনেছি আপার মৃত্যুর খবর টা ৷ শুনে আমার হাত পা কেঁপে উঠছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওনার চিকিৎসার জন্য টাকাও দিয়েছেন। আর সেটাও পৌঁছাতে পারলাম না ওনার কাছে। খুব খারাপ লাগছে। আমি আর কথা বলতে পারছি না৷
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, 'অধ্যাপক ডক্টর শিল্পী খানমের ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যু আমাদের জানিয়ে গেল শিক্ষক হিসেবে আমরা কতটা অসহায়। ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা নিয়ে তার পরিবারকে বেশ বিচলিত হতে দেখা গেছে। শিক্ষকরা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে অর্থ সহায়তা করেছেন কিন্তু তারও একটা নির্দিষ্ঠ সীমাবদ্ধতা ছিল। আমাদের সহকর্মীর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওনি আমাদের ভালো একজন সহকর্মী ছিলেন। ওনার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে ওনার চিকিৎসার খরচ, দেনাপাওনার বিষয়টি দেখা হবে ৷
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলী নোমান বলেন, ম্যাম অনেক বন্ধুসুলভ মানুষ ছিলেন, সবসময়ই শিক্ষার্থীদের আগলে রাখতেন। নিজের সন্তানের মতো করেই আমাদের আদর-স্নেহ করতেন। আমরা বিভাগের সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা মিলে ম্যামের চিকিৎসার জন্য সামান্য কিছু টাকাও জোগার করেছিলাম। সেই টাকা নিয়ে হাসপাতালে এসেই মৃত্যুর খবর শুনলাম। ওনার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
আরও পড়ুন: জবিতে ফিচার, কলাম এন্ড কন্টেন্ট রাইটার্সের নতুন কমিটি গঠন
জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে বোনম্যারো ক্যান্সার ধরা পড়ে অধ্যাপক ড. শিল্পী খানমের। এরপর দেশে কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে ভারতে নেয়া হয়। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসার পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। তবে দিনে দিনে শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হতে থাকে। ক্যান্সার পুরো রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি ৷
এমএল/