সাবেক এমপি করিম ভরসার ছেলের ফাঁসির ওপর হাইকোর্টের রায় আজ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সাবেক এমপি করিম ভরসার ছেলের ফাঁসির ওপর হাইকোর্টের রায় আজ

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য করিমউদ্দীন ভরসার এক ছেলেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ছেলের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

গতকাল মঙ্গলবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

ওইদিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০০৯ সালের এপ্রিলে রাজধানীর বিজয়নগরের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে করিম উদ্দিন ভরসার এক ছেলে খায়রুল ইসলাম ভরসা ওরফে কাজলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক ছেলে কবিরুল ইসলাম ভরসা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় খায়রুলের স্ত্রীর বড় ভাই হত্যা মামলা করেন।

মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালত কবিরুলের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।

পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। তবে, আসামি কবিরুল পলাতক রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, করিমউদ্দীন ভরসার ছোট ছেলে খায়রুল ইসলাম ভরসা ওরফে কাজলকে (৩০) রাজধানীর বিজয়নগরে তার নিউ এইচ টোব্যাকো অফিসে গিয়ে গুলি করেন বড়ভাই কবিরুল ইসলাম ভরসা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে এবং পরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত কবিরুল সাবেক এমপি করিমউদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম ও খায়রুল তৃতীয় সন্তান। তার দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ছয় ছেলে ও চার কন্যা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর চার ছেলে ও দুই কন্যা।

ব্যবসা নিয়ে বিরোধের কারণে ছোট ভাই খায়রুলকে গুলি করে হত্যা করে কবিরুল- ২০০৯ সালে হত্যাকাণ্ডের পরপরই এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন করিমউদ্দীন ভরসা।

নিহত খায়রুল বনানীর নিজের বাড়ির চার তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন। একই বাড়ির তিন তলায় থাকতেন বড় ভাই কবিরুল। খায়রুলকে হত্যার সময় তার একমাত্র শিশুপুত্রের বয়স ছিল ১৮ মাস। কানাডা থেকে বিবিএ পাস করে দেশে ফিরে পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিউ এইচ টোব্যাকোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন খায়রুল।

জি আই/