মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি, স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩২ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৪


মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি, স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের
ছবি: ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উৎস গায়নের বিরুদ্ধে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ এনে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 


রবিবার (২৬ মে) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে হলগেটে এসে শেষ হয় মিছিলটি। এ সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে হাজির হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে স্লোগান দেন।


আরও পড়ুন: তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হবার আগেই শিক্ষক সমিতির আপত্তি, যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন


এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর জানান সোশ্যাল মিডিয়ার মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপে উৎস গায়ন মুহাম্মদ (সা) কে নিয়ে অবমাননা কর একটি ম্যাসেজ সেন্ট করেন। আর যা সে পরক্ষণেই গ্রুপ থেকে সরিয়ে ফেলেন। 


মুহূর্তের মধ্যে এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। 


বিক্ষোভে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মইনুদ্দিন খান সিফাত বলেন, এইটা আমাদের অন্তরের ব্যথা না, এটা যে কি তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। আমি মুসলমান, আমি নামাজ এক ওয়াক্ত কম পড়তে পারি, ইসলামের একটা বিধান হয়তো কম মানতে পারি কিন্তু হযরত মোহাম্মদ রাসুল (সা:) কে নিয়ে কোনো প্রকার কটুক্তি মেনে নিব না।


আরও পড়ুন: ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হলেন জবি অধ্যাপক


এই বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার দোষ শিকার করেছে। আপাতত তাকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ও প্রো-ভিসি নাই, তার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। আসলে তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


এমএল/