বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষকতা ব্যতিত সরাসরি কাজে লাগানোর সুযোগ কম: শিক্ষামন্ত্রী


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, ১লা জুন ২০২৪


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষকতা ব্যতিত সরাসরি কাজে লাগানোর সুযোগ কম: শিক্ষামন্ত্রী
ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘৩য় নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শনিবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষদিনে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। 


আরও পড়ুন: বাকৃবিতে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াডের ফাইনাল অনুষ্ঠিত


প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম. পি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসকল বিষয়ে পাঠগ্রহণ করছি সেসকল বিষয়কে শিক্ষকতা ব্যতিত সরাসরি কাজে লাগানের সুযোগ কম। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানকে সরাসরি কাজে লাগানোর অন্যতম উপায় হলো নিজেকে বিতর্কের মতো সৃষ্টিশীল কজে যুক্ত রাখা। এসময় তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ সক্ষমতা তথা ভাষা দক্ষতার পার্থক্যের কারণে আমাদের চেয়ে উন্নত দেশের পেশাজীবীরা এগিয়ে যাচ্ছে। বিতর্কের মাধ্যমে যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়, ভাষার চর্চা আরো সমৃদ্ধ হয়। আর আমরা যে বিষয়েরই শিক্ষার্থী হই না কেন, আমরা যেন নিজেদেরকে বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষাতেই দক্ষ করে গড়ে তুলি। 


প্রধান পৃষ্ঠপোষক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার সমাপনী শনিবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের অত্যন্ত দক্ষ ও নিবেদিত বিতার্কিক দল আছে যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নোবিপ্রবি বিতর্কে সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে আমাদের টিম জাতীয় পর্যায়ে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও তিনি বলেন, সাংগঠনিক দক্ষতার বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনের তুলনায় নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি অন্যতম।


আরও পড়ুন: নোবিপ্রবিতে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন  


‘মগজে দূর করি মননের কলঙ্ক’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে। প্রথম দিনে চারটি পৃথক রাউন্ডে এদের মাঝে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে চূড়ান্ত বিতর্কে বিজয়ী হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল ও রানার্স আপ হয় আহছান উল্ল্যাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিতার্কিক দল। অনুষ্ঠানে চুড়ান্ত প্রতিযোগী উভয় দল ও সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়।


এমএল/