ইবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৭ অপরাহ্ন, ৬ই জুন ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের নামে রাতভর দফায় দফায় নির্যাতনের ঘটনাকে এবার গুরুত্বের সাথে নিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশনটি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) ফারজানা নাজনীন দৈনিক জনবাণীকে এসকল তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা আগামী ২৯ জুলাইয়ে মধ্যে ইবি রেজিস্ট্রারকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ইবি উপাচার্যের অবগতি ও কার্যার্থে উপাচার্যের একান্ত সচিবকেও এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশের অনুলিপি ডাক ও ইমেইল যোগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্ব প্রনোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেয়। আমাদের সর্বশেষ বেঞ্চে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বেঞ্চের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যে সুপারিশ হল তদন্ত কমিটি করেছে যদিও অপরাধের তুলনায় শাস্তির সুপারিশ পর্যাপ্ত না, এটা ফৌজদারি অপরাধ। তারপরও সুপারিশের আলোকে এ শাস্তি কার্যকর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেটা আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।মানবাধিকার কমিশন প্রত্যাশা করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত কার্যকর করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরবর্তী বেঞ্চে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
এবিষয়ে উপাচার্যের একান্ত সচিব মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, এখনো মেইল চেক করিনি। এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে, ক্যাম্পাসও বন্ধ। যদি এ ধরনের মেইল এসে থাকে তাহলে বিষয়টি আমি উপাচার্য স্যারের নজরে আনার চেষ্টা করবো।
তবে এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন।
আরও পড়ুন: নোবিপ্রবিতে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ বিষয়ক
প্রসঙ্গত, এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে নবীন শিক্ষার্থী অপু মিয়াকে রাতভর দফায় দফায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসময় তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত কাফিকে ২ বছর এবং সাগর ও উজ্জ্বলসহ দুজনকে এক বছরের (দুই সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে গত ২ জুন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের আলোকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত, কাফি, সাগর ও উজ্জ্বলসহ তিনজনকে এক বছরের (দুই সেমিস্টার) জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জেবি/এসবি