ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেঙে যাওয়া রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:২৯ অপরাহ্ন, ৬ই জুন ২০২৪
খুলনা জেলার দক্ষিণে অবস্তিত কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাঠমারচর হাজত খালি গ্রাম। গত কয়েক বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেঙে যাওয়া ইটের সলিং রাস্তা টি সংস্কার না হওয়ায় প্লাস্টিকের পানির জার, ছোল ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাজত খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণ চলাচল করে আসছে বহু দিন ধরে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ভেঙে যায় হাজত খালি গ্রামের বেড়িবাঁধ আমাদের এলাকা কপোতাক্ষ নদীর লবণ পানিতে প্লাবিত হয়। এলাকার ৫/৭ বছর বয়সের শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্লাস্টিকের পানির জার ও ছোল দিয়ে ভেলা বানিয়ে ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়া আশা করছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল-ভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের
আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা টি সংস্কার করে দেওয়া হোক যাতে করে আমরা ভালো-ভাবে চলা-ফেরা করতে পারি।
হাজত খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইমাম উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেঙে যাওয়া ইটের সলিং রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে আমার স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী সহ সকল শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা। শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী দের নিয়ে আসে তাদের অবিভাবকরা।
আরও পড়ুন: ‘সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে’
কয়েক জন অবিভাবকের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের প্রতিদিনের সংসারের কাজ-কাম রেখে বাচ্চা গুলো স্কুলে নিয়ে আসতে হয় ভেঙে যাওয়া রাস্তা টি সংস্কার না হওয়ায়। হাজত খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভরত কুমার বলেন, আমাদের একটাই দাবি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেঙে যাওয়া ইটের সলিং রাস্তা টি দূরত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে দেওয়া হোক।
বিষয় টা নিয়ে কথা বলে ছিলাম উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলেন রাস্তা টি সংস্কার করার জন্য উপর মহলকে জানানো হয়েছে আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তা টি সংস্কার করার কাজ শুরু হবে।
এমএল/