নারায়ণগঞ্জ ধনী এলাকা, এখনে প্রভাবশালীর সংখ্যা বেশি আর প্রভাবশালীরাই দুর্নীতি বেশি করে: দুদক কমিশনার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:৫২ অপরাহ্ন, ৬ই জুন ২০২৪


নারায়ণগঞ্জ ধনী এলাকা, এখনে প্রভাবশালীর সংখ্যা বেশি আর প্রভাবশালীরাই দুর্নীতি বেশি করে: দুদক কমিশনার
ছবি: প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ১০টা থেকে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।


নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।


এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, বিশ্বের কোন দেশই দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সম্মান করে না। দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের আমরা একটু বেশি সম্মান করি। যাতে সে দুর্নীতি করতে আরও উৎসাহিত হয়। একজন ঋণ খেলাপি, দুর্নীতিগ্রস্থ সে যদি পাশের রাস্তা দিয়ে আসে, আমরা এগিয়ে যাই তাকে আনতে। কখনো বলি না, তুমি দুর্নীতিগ্রস্থ তোমাকে আমি এগোতে যাবো না, এমনটা করলে দুর্নীতি কমে আসবে। দুর্নীতির ব্যপারে বিশ্বের বহু দেশ অনেক আইন করেছে। আর আমাদের দেশে যে যত বড় দুর্নীতিগ্রস্থ তাকে তত বেশি সম্মান করি। আপনারাও এদের ঘৃণা করুন। শুধু তাদের বলবেন, আপনি দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি আমি আপনাকে পছন্দ করি না। এটা বলতে পারলে দেশের ৮০ভাগ দুর্নীতি কমে যাবে।


আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার ও কীট প্যারেডসহ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত


তিনি আরও বলেন, এমনিতেই নারায়ণগঞ্জ ধনী এলাকা, প্রভাবশালী এলাকা। যার প্রভাব বেশি, তার দুর্নীতিও বেশি। বিনা দুর্নীতিতে প্রভাবশালী হওয়া যায় না।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাজহার হোসেন মাজুম।


এসময় ৫৫ জনের বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন অনিয়ম শোনেন দুদক কমিশনার ও অন্যানরা।


আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে র‍্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা


গণশুনানিতে ডিপিডিসি, তিতাস, নির্বাচন কমিশন, টিটিআই, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজউক, পাসপোর্ট অফিস, আনসার, বিমা ও আর্থিক অফিসার, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, জেলা কারাগার, খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালসহ সিআইডি ও এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন ভুক্তভুগিরা। ৫৫টির মধ্যে ৫টি অভিযোগ তদন্তের জন্য আমলে নেয় দুদক, যার সত্যতা প্রমানিত হলে মামলা করা হবে। এছাড়া কিছু সমস্যার তাৎক্ষনিক সমাধান করা হয় এবং বেশি কিছু সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর প্রধানদের সময় বেধে দেয় দুদক।


এমএল/