পুলিশের তৎপরতায় চোরাই মহিষ উদ্ধার, থানায় বসে আপোষ-মিমাংসা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, ১০ই জুন ২০২৪


পুলিশের তৎপরতায় চোরাই মহিষ উদ্ধার, থানায় বসে আপোষ-মিমাংসা
ছবি: প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে আলমগীর মোল্লা নামে এক মহিষ চোরের কাছ থেকে নোমান ট্রেডার্সের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি মহিষ চুরির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের তৎপরতায় মহিষটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।


এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে আপোষ-মিমাংশা করা হয়েছে। চোরকে শাস্তির  আওতায় না এনে চোরের সাথে আপোষ-মিমাংসায় যাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চরাঞ্চলের মহিষ ব্যবসায়ীরা।


জানা যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২০নং উত্তর চর রমনী মোহন ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডে কৃষক নোমানের খামার থেকে প্রায় ১০ দিন আগে একটি মহিষ চুরি হয়।


যা ওই ইউনিয়নের মহিষ ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লা বাড়ির পাশে খালের নিচে পানিতে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তা জানাজানি হলে মহিষটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সালিশি-মীমাংসার মাধ্যমে মহিষটির প্রকৃত মালিক নুর আলম এবং নোমানের  হাতে তুলে দেয়া হয়।


যদিও এর আগে মহিষ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা, হারুন মোল্লা,ও আলমগীর মোল্লাকে গরু-মহিষ চোর আখ্যা দিয়ে নানা রকম অভিযোগ করে।


এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নোমান ব্যাপারী জানায়, আমি আলমগীর মোল্লার বাড়ির পাশে থেকে মহিষ আনতে গেলে তারা আমার চোখ তুলে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমি চেয়ারম্যান কে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।


একই এলাকার বাসিন্দা শাহাদাৎ ফয়সাল বলেন, হারুন মোল্লা এবং আলমগীর মোল্লা রাজনীতির দোহাই দিয়ে চরে গরু- মহিষ চুরির নেতৃত্ব দিচ্ছে।


এর আগেও তারা মানুষের গরু চুরি করে খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া চরের গরু চুরির নেতৃত্ব দিচ্ছে হারুন মোল্লা এবং হারুন আলমগীর মোল্লা। তার নামে আগেও গরু চুরির মামলা হয়েছে।


মহিষ ব্যাপারী রব মোল্লা বলেন, এ মহিষটি নোমান অনেকদিন ধরেই লালন পালন করে আসছে, কিন্তু হারুন মোল্লার ভাই আলমগীর মোল্লা এই মহিষকে চুরি করে নিয়ে এসেছে।


মহিষ ব্যবসায়ী মনির বলেন,  গত বছর হারুন মোল্লাহ আমার একটি মহিষ জবাই করে খেয়ে ফেলেছে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা বলে আমাদের এলাকায় ব্যবসা করো আমরা গুরু একটা নিয়ে খেয়ে ফেলেছি, এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিও না।


এদিকে মহিষ চুরির সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় না এনে আপস মীমাংসা করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সচেতন মহল।


সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন আনোয়ার বলেন, যেহেতু কেউ অভিযোগ করে নি তাই বিষয়টি সমাধান করে প্রকৃত মালিককে মহিষটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।


এসডি/