মিথ্যা পরকীয়ার অভিযোগ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, ১১ই জুন ২০২৪


মিথ্যা পরকীয়ার অভিযোগ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় মিথ্যা পরকিয়ার অভিযোগ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। 


সোমবার (১০ জুন) বিকেলে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা ঝাউদিয়া ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা করা গৃহবধূ আব্দালপুর ইউনিয়নের আব্দালপুর গ্রামের বাকপাড়ার ছানোয়ার ওরফে কালুর স্ত্রী জেসমিনয়ারা জনি (২৫)। 


জানাযায়, প্রায় ১১ বছর আগে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামের আব্দুল মজিদ সাখাওয়াতির মেয়ে জেসমিনয়ারা জনির সাথে আব্দালপুর ইউনিয়নের বাকপাড়া গ্রামের ওমর মন্ডলের এর ছেলে ব্যবসায়ী ছানোয়ার ওরফে কালুর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছরের মাথায় তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার করার পর থেকেই জেসমিনয়ারার প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে ছানোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন।


আরও পড়ুন: খোকসায় গড়াই নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার


মৃত গৃহবধূ জেসমিনয়ারা জনির পিতা আব্দুল মজিদ সাখাওয়াত জানান, বিয়ের দুই তিন বছর পর থেকেই আমার মেয়ের উপর আমার মেয়ের জামাই ও তার শ্বশুর শাশুড়িরা ও ভাবি সহ পুরো পরিবার বিভিন্ন কারণে নির্যাতন করে আসছিলো, মাঝে মাঝেই তারা আমার মেয়েকে দিয়ে যৌতুকের টাকা দাবি করাতো আমার কাছে, টাকা না নিয়ে আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকে আবারও শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো, যৌতুকের টাকা না পেয়ে কিছুদিন আগে আমার মেয়েকে দিয়ে তারা ১০ লাখ টাকার একটা লোন নেওয়ায়, তবে কিছুদিন আগে থেকে আমার মেয়ের নামে কলঙ্ক রটানোর জন্য মিথ্যা পরকিয়ার দোষ দেয়।


আমার মেয়ের জামাই ও শ্বশুর আমাকে বলে, আপনার মেয়ে অন্য ছেলেদের সাথে খারাপ কাজ করে তবে আমি মেয়ের জামাই ও বেয়াই এর কাছে পরকীয়ার প্রমাণ চাইলে তারা প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়, এবং কোন ছেলের সাথে পরকীয়া করে সেটার প্রমাণ দিতেও তারা ব্যর্থ হয়, এমন অবস্থায় আজ থেকে কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে তারা মেরে আহত করে আমার পাশের গ্রাম কাশীনাথপুর আমার শ্বশুর বাড়ির সামনে তারা রাতের আধারে অসুস্থ অবস্থায় রেখে যায় এমত অবস্থায় আমার মেয়ে অপমান ও মিথ্যা কলঙ্ক সইতে না পেরে সোমবার বিকেলে আমার মেয়ের নানার বাড়ির পাশে পানের বরজে যেয়ে আত্মহত্যা করে। আপনারা একটা কথা ভাবেন একটা মানুষ কতটা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে আত্মহত্যা করে আমি এর কঠিন বিচার চাই। 


এবিষয়ে ছানোয়ার ও জেসমিনয়ারা দম্পতির ৮ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে ছানিয়া ইসলাম বলেন, আমার আব্বা আমার আম্মুকে মাঝে মাঝেই মারতো আমি নিষেধ করলে আমাকেউ মারতো, আমার আম্মু আল্লাহর কাছে চলে গেছে।


আরও পড়ুন: ভেড়ামারা পৌরসভার প্রেরিত বিদ্যুৎ বিলের অসংগতির কারণে মেয়রের সাংবাদিক সম্মেলন


বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ছানোয়ার ওরফে কালুর মোবাইল নাম্বারে কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।


এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে আমরা ঝাউদিয়ার আস্থানগরে একটা আত্মহত্যা লাশ পাই পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল এর মর্গে পাঠায়, তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি তবে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


এমএল/