ক্রেতাদের নজর কাড়ছে উচ্চশিক্ষিত সালমার ১৪ গরু
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৩৮ অপরাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৪
মাস্টার্স পাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কলসি গ্রামের মাস্টার্স পাস নারী সালমা খাতুন। নিজের পালিত ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রামের বিবিরহাটের কোরবানির বাজারে। নারী হয়েও গরু পালনে এগিয়ে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতা সাধারণেরা।
সালমা খাতুন পরম মমতার সাথে গরুগুলোকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, আর ক্রেতাদের সঙ্গে দরদাম করছেন। শত শত পুরুষ বিক্রেতার মধ্যে তিনিই একমাত্র নারী বিক্রেতা। বেশভূষা দেখে কোনো খামারি মনে না হওয়ায় প্রতিবেদকের কৌতূহল থেকেই কথা বলেন ওই নারীর সঙ্গে। আর সালমা খাতুনও জানালেন তার সংগ্রামী জীবনের কথা।
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের দৃষ্টিনন্দন দোতলা বাড়ি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করা সালমা খাতুন বলেন, আমি একটা চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে আমের ব্যবসা শুরু করি। ২০১৯ সালে অনেকটা শখের বসে থেকেই গরু পালন করি। এরপর ২০২২ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে বড় পরিসরে শুরু করি। কিন্তু ২০২৩ সালে লস গুনতে হয় আমার। এরপর ইউসিবি ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন, ১৪ গরু নিয়ে চট্টগ্রামের এই বাজারে এসেছি। আমার এখানে এক লাখ ১২ হাজার থেকে পৌনে দুই লাখ টাকার গরু আছে। আমরা বাজারে গরু তুলেছি বৃহস্পতিবার। এখনও পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি হয়নি। তবে আশাকরি সবগুলোই বিক্রি হয়ে যাবে। ২০২২ সালেও আমি এই বাজারে এসেছিলাম। তখনও সব বিক্রি করে গেছি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশ্বরোডে ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক ১
দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গরু নিয়ে আসা সালমা খাতুনের বিষয়ে বিবিরহাট বাজারের গরুর বেপারী ফাহিম আহম্মেদ বিজয় বলেন, একজন নারী হয়ে গরুর খামার করা অনেক সাহসী ব্যাপার। তিনি যে বাজারে গরু নিয়ে এসেছেন এটিও দেশে তেমন একটা দেখা যায় না। বিভিন্ন সংকটেও দেশের খাদ্য উৎপাদনে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন তিনি। এভাবে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। তার সাহস আছে। একজন খামারি হিসেবে যেন সে ন্যায্য দাম পায় সেটিই আশা করবো আমি।
এমএল/