হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহ ও ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, ১৫ই জুন ২০২৪


হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহ ও ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া
ছবি: সংগৃহীত

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে সৌদি আরবের মক্কার অদূরে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। সেখানে মসজিদে নামিরায় হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন হজের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। এছাড়া নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেছেন। দোয়ায় ফিলিস্তিনিদের স্মরণে রাখতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 


শনিবার (১৫ জুন) ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন তারা। রবিবার (১৬ জুন) আবার মিনায় ফিরে পশু কোরবানি করবেন হাজিরা।


আরাফাতের ময়দান হারাম এলাকার সীমানার বাইরে অবস্থিত। মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাফাতের ময়দান। এ ময়দানের প্রান্তে দাঁড়িয়েই রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিদায় হজের নসিহত প্রদান করেছিলেন।


আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ও কোরবানি সম্পর্কে ৫ হাদিস


রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হজের সব হলো আরাফাতে। (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫)


হজের খুতবায় মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন।


তিনি বলেন, ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য এবং সমস্ত বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক প্রাপ্ত হবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।


এ সময় তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সহজ-সরল পথ দেখায়।


খুতবায় ইমাম বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন সব ধরণের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। যে বা যাহারা তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কখনো কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে উত্তম প্রতিদান দেবেন।


আরও পড়ুন: জুমার দিন যে সময় দোয়া কবুল হয়


ইমাম আরও বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন। যারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে একমাত্র তারাই জীবনে সফলকাম হবেন।


হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন। খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার জন্য পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা।


তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সহযোগিতার চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এ ছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।


এমএল/