মৌলভীবাজারে দুই লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:২২ অপরাহ্ন, ২০শে জুন ২০২৪


মৌলভীবাজারে দুই লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি
ছবি: সংগৃহীত

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বসতঘর ছেড়ে মানুষ উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। মৌলভীবাজার জেলার মনু কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।


এদিকে বুধবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছুটা কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধলাই নদী ও মনু রেল ব্রিজ পয়েন্টের পানি। তবে এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারার শেরপুর পয়েন্ট ও শহরের মনুর চাদনীঘাট পয়েন্টের পানি।


আরও পড়ুন: বন্যায় ভাসছে সুনামগঞ্জ


টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিনটি হাওরের পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় জেলার বড়লেখা, জুড়ি, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় দুই লাখের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।


মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, বিয়ানীবাজার, শেওলা ও চারখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই অবস্থা মৌলভীবাজার জেলার প্রায় সড়কেই।


আরও পড়ুন: সিলেটে পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি


মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৮১ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার ১৫১৩টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের জন্য ত্রাণও প্রস্তুত রয়েছে।


এমএল/