দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ অপরাহ্ন, ২৭শে জুন ২০২৪

ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ প্রদান এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বজন হারিয়ে বেঁচে থাকার কষ্টটা অনেক বেশি, তারপরও সেই শোক, ব্যথা বুকে নিয়েই নিজের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত করে চলে এসেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “৬ বছর আসতে পারিনি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা আমাদের আসতে দেবে না। ছয় বছর পর যখন আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে এবং জনগণের সমর্থনে এক প্রকার জোর করেই ফিরে আসি। বিচার চাওয়ার আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। বাবা-মা, ভাই হত্যার বিচার আমরা চাইতে পারিনি। আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল। খুনিদের বহিষ্কৃত করা হয়েছিল, কিন্তু সাজা যাতে না হয় তার জন্য আইন করা হয়েছে। যাতে কেউ মামলা করতে না পারে।”
আরও পড়ুন: ৩৩ বছর পর বাড়ল রেশনের চাল-গমের দাম
শেখ হাসিনা বলেন, “একাত্তরে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে ছারখার করেছে, সেই যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার হয়েছিল, আবার অনেকে কারাগারেই ছিল, যারা পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে এনে এখানে ক্ষমতায় বসানো হয়। এমন একটা সময় ফিরে আসি একদিকে ঘাতকের দল এবং অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধী... তারাই ক্ষমতায়। শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে, স্বাধীনতার সুফলটা যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশে ফিরে এসেছি। তারপরও অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আজকের বাংলাদেশ।”
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক হবে আজকের শিশুরাই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের দেশটার কী অবস্থা ছিল? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে মানুষের যে মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এবং পল্লী বিদ্যুতের ব্যবস্থাও সুনির্দিষ্ট উল্লেখ করা ছিল।
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

রোহিঙ্গারা আগামী ঈদ মিয়ানমারে করতে পারেন সেই চেষ্টা চলছে: ড. ইউনূস

সংস্কার ছোট পরিসরে হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, আমাদের সমুদ্র আছে: ড. ইউনূস
