সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, আজকেই সেটাই প্রমাণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, আজকেই সেটাই প্রমাণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। আসলেই ইতিহাস সব সময় প্রতিশোধ নেয়। সত্যকে মুছে ফেলা যায় না, আজকেই সেটাই প্রমাণ হয়েছে।

রবিবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সদরদপ্তরে ‘মুজিব কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

পচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পরের নানা প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে প্রবাসে ছিলাম রিফিউজি হিসাবে, কিন্তু নাম-পরিচয়টা দিতে পারেনি। কারণ নিরাপত্তার স্বার্থে যে দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তাদের এটাই ছিলো নির্দেশ।’

‘এই শোক-কষ্ট সহ্য করা কত কঠিন। তারপরেও আমার জীবনের একটা প্রতিজ্ঞা ছিলো। জীবনে একদিন না একদিন সময় আসবে। কারণ এত আত্মত্যাগ কোনদিন বৃথা যেতে পারে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, পঁচাত্তরের পরে বাংলাদেশের ইতিহাস খেকে জাতির নাম মুছে ফেলা হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর সাতেই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি বাছা বাছা গান বাজানো হতো। যে গানগুলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতো, সেগুলো নিষিদ্ধ ছিলো। কোথাও বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকলে, সেটা হয় কাগজ দিয়ে বন্ধ করা হতো, না হয় আঙ্গুল দিয়ে ঢেকে রাখা হতো।’

আর এভাবে একটি বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল ইতিহাসটাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। আসলেই ইতিহাস সবসময় প্রতিশোধ নেয়। যারা সত্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা করে…মুছে ফেলা যায় না। আজকেই সেটাই প্রমাণ হয়েছে।’

এসএসএফ কার্যালয়ে স্থাপিত মুজিব কর্নার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে কর্নারটা করা হয়েছে, সেখানে ইতিহাসের অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কাজেই যারা দায়িত্ব পালন করতে আসবেন, তারা একদিকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন আর বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলার প্রেরণা পাবেন। ’

দেশি ও বিদেশি ভিভিআইপি ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসএসএফ সদস্যদের পেশাদারত্ব ও দক্ষতার প্রশংসা করেন সরকারপ্রধান। এসএসএফ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবীর আহাম্মদ।

ওআ/