হস্তান্তরের আগেই উঠে গেছে রাস্তার কার্পেটিং


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩১ অপরাহ্ন, ৫ই জুলাই ২০২৪


হস্তান্তরের আগেই উঠে গেছে রাস্তার কার্পেটিং
ছবি: প্রতিনিধি

পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের বিপিনপুর হয়ে নিজামপুরের সাড়ে তিন কিঃ মিঃ পাঁকা রাস্তার মেরামতের ব্যাপক অনিয়মে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ পেয়ে রাস্তার অনিয়ম দেখতে ছুটে এসেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাস্তা আবার কার্পেটিং না করলে বিল আঁটকে দেওয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা। 


শুক্রবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর হয়ে নিজামপুর পর্যন্ত সাড়ে তিন কিঃ মিঃ রাস্তার পাঁকা করনের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয় পটুয়াখালীর মেসার্স শহিদুল এন্টারপ্রাইজকে রাস্তা মেরামতের জন্য ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বাজেট দেওয়া হলেও রাস্তার এমন দুর্গতি দেখে ক্ষোভে ফেটে যাচ্ছেন এলাকাবাসী। অধিকাংশ রাস্তার বিটুমিন উঠে পায়ের চাপে নড়ে যাচ্ছে রাস্তা এ যেন কাঁদার উপরে আলগা করে বিটুমিন রেখেই বিল উঠিয়ে নিতে চেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আবার অনেক যায়গায় খুঁড়ে দেখা মেলেনি ইট বালুর এ নিয়ে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে পড়তে হয়েছে ঠিকাদারের তোপের মুখে চাঁদাবাজি মামলার ভয় দেখিয়ে সব রাস্তা করলেও শেষ রক্ষা হলোনা তাদের। ফেসবুক পোস্টে সব কিছু গোলমাল করে দিলো সাধারণ মানুষ। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রাস্তার এমন দশা হয়েছে রাস্তা মেরামত না করে বিল তুলবেন না তারা। 


আরও পড়ুন: মনপুরায় রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাটের বেহাল দশা


এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘ বছর খানাখন্দে কস্ট করে অনেক পরিশ্রমের পড়ে এত টাকার বাজেটের রাস্তার এমন দশা শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীর জন্য। সহস্রাধিক এলাকাবাসীর দাবী ইউএনও কাছে রাস্তা ভালো করে মেরামত না করে যেন বিল তুলতে না পারেন এই প্রতিষ্ঠান। 


বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার মহিপুর আলিপুরের মৎস্য বন্দর ও কুয়াকাটা যাওয়ার অন্যতম একটা ব্যস্ততম রাস্তা এটি। এখান থেকে দুটি জেলার হাজার মানুষের যাতায়াতের এমন রাস্তার নিম্নমানের কাজের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।


মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নাশির উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি আমার বাসার সামনে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে যার জন্য রাস্তা এলজিইডিকে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই এমন দশা হয়েছে। 


আলমাস হাওলাদার নামের একটা বয়স্ক বৃদ্ধ ক্ষোভ করে বলেন, অনেক বছর কস্ট করে রাস্তার সংস্কার হচ্ছে ঠিকাদার যা করছে রাস্তা তার চেয়ে আগের ভাঙ্গা রাস্তাই ভালো ছিলো।


আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমেলের ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  


শহিদুল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে আমরা কাজটি সাবকন্টাক্ট দিয়েছি তাদের গাফেলতির কারণে রাস্তার এমন দশা হয়েছে আমরা আবারও রাস্তা মেরামত করে বিল তুলবো। 


কলাপাড়া এলজিইডি সার্ভেয়ার আলামিন জানান, রাস্তাটি এখনও আমরা বুঝে নেইনি রাস্তাটির বিটুমিন উঠে যাওয়া সহ সব সমস্যার সমাধানের পড়েই আমরা রাস্তাটি বুঝে নিবো। 


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তার অনিয়মের ঘটনা শুনে সরেজমিনে এসে সত্যতা পেয়েছি রাস্তাটি যেহেতু সংস্কার করার সুযোগ আছে তাই তাদেরকে রাস্তা সংস্কার করার সুযোগ দিচ্ছি। এলাবাসী যখন গিয়ে বলবে রাস্তা ঠিক আছে তখনই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল তুলতে পারবেন। 


এমএল/