কোটা বাতিল আন্দোলনে উত্তাল নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২৯ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৪


কোটা বাতিল আন্দোলনে উত্তাল নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস
ছবি: প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 


শনিবার (৬ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা।


এসময় আন্দোলন স্লোগান দেন- ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’।


আরও পড়ুন: শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে জাবি শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশঙ্কা  


আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আল জকি হোসেন বলেন, 'স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও যখন কোটা নামক বৈষম্যের কথা শুনতে হয়, তখন আমাদের আফসোস হয়। যেখানে বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন মেধার বিকল্প নেই। কোটার মাধ্যমে মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কোটা নামক অদৃশ্য সিল না থাকলেই তার জীবন হয়ে উঠে সুইসাইডাল। একজন শিক্ষার্থী যখন পড়াশোনা শেষে চাকুরির বাজারে কোটার কাছে হেরে যায় তখন পরিবার তথা সমাজের কাছে হেরে গিয়ে সুইসাইড করা ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা তার। 


আরও পড়ুন: প্রায় তিন ঘন্টা পর মহাসড়ক ছাড়লো কুবি শিক্ষার্থীরা


তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি এই সোনার বাংলায় কোটা নামক অদৃশ্য শক্তির অতি দ্রুত  সংস্কার করা প্রয়োজন। যে দেশে কোটার কাছে মেধার পরাজয় হয়, সেই দেশের ধ্বংস অনিবার্য।'


আন্দোলনরত নারী শিক্ষার্থী ময়ূরী খাতুন বলেন, 'আমরা মেয়েরা মনে করি আমরা পিছিয়ে পড়া জাতি না। নারী কোটায় আমরা চাকরি চাইনা। সরকার একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষকে বেশি সুবিধা দিচ্ছে। আমরা পুরুষদের সাথে পরিশ্রম ও মেধার প্রমাণের মাধ্যমে আমাদের যোগ্যতা যাচাই করতে চাই। আমি মনে করি সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য শুধু কোটা রাখা প্রয়োজন। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’


জেবি/এসবি