ত্রিমুখী আন্দোলনে অচল নোবিপ্রবি


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৪


ত্রিমুখী আন্দোলনে অচল নোবিপ্রবি
ছবি: প্রতিনিধি

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। ত্রিমুখী আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের সব একাডেমিক ক্লাস ও পরীক্ষা। 


রবিবার (৭ জুলাই) কর্মচারিদের কর্মবিরতির মাধ্যমে ত্রিমুখী আন্দোলনের সূচনা হয়। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এ কর্মসূচি চলছে। কবে নাগাদ এটির অবসান হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। শিক্ষার্থীরা কবে ক্লাসে ফিরবেন, কবে শুরু হবে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলো তা বলার উপায় নেই।


আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’, অচল সাইন্সল্যাব


সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এর ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিন দিন নোবিপ্রবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। গত ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয়।


সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার না করায় সোমবার (১ জুলাই) থেকে নোবিপ্রবিতে পূর্বঘোষিত সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় নোবিপ্রবির শিক্ষকরাও কর্মবিরতি শুরু করে। এ দিন সকাল থেকে সবধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন নোবিপ্রবির শিক্ষকরা। 


কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই নোবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ডান পাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।


আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজের সামনে ‘ বাংলা ব্লকেডে’ জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা


নোবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ আন্দোলনমুখী না। বৈষম্যমূলক এই পেনশন স্কীম জোর বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হবে না ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।'


বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি


অন্যদিকে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতির পর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন নোবিপ্রবির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ৩০ জুন থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তারা। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও তারা বিরত ছিলেন। তারা শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং কর্মবিরতি পালন করেন। 


রবিবার (৭ জুলাই) অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে নোবিপ্রবির কর্মচারিরা। সোমবার (৮ জুলাই) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষনা দেন।


এমএল/