প্রতিদিন অফিসে যেতে দেরি করেন?
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:০৪ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৪
প্রতিদিনই ভাবেন, আজ তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছবেন, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না! প্রতি দিনই অফিসে ঢুকতে দেরি।আপনাকে যদি অফিসের বস কিংবা বন্ধু কর্মস্থলে বা কোনো একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বলে দেয়, তাতেও আপনি যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেন না? দুই-এক দিন অফিসে যেতে দেরি হলে সমস্যা নেই। তবে রোজ এমন হলে তা উদ্বেগের কারণ।
আরও পড়ুন: চুল কেন পড়ে? থামাবেন যেভাবে
চিন্তা নেই , আছে সমাধান তো চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১) সময়ের গুরুত্ব বুঝতে হবে। মনোবিদেরা বলছেন, কোন কাজ কত সময় ধরে করবেন, কোনটি আগে এবং কোনটি পরে করতে হবে, সেটা সবার আগে বুঝতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্যই আলাদা করে সময় বরাদ্দ করতে হবে। তা হলেই সব কাজ গুছিয়ে শেষ করা যাবে। একই সময়ে সব কাজ একসঙ্গে করতে শুরু করলে সবটাই হ য র ল ব হয়ে যায়।
২) কাজের পরিকল্পনা করাটা খুবই জরুরি। ধরুন, যে দিন অফিস যাবেন, সে দিন ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে একটু তাড়াতাড়ি উঠুন। হাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় রাখতেই হবে। তা হলেই দেরি হয়ে যাবে বলে দুশ্চিন্তা শুরু হবে না। অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। ফলে কোনো কাজটাই সঠিক হয় না। তাড়াহুড়োয় প্রাতরাশ না করেই বেরিয়ে যান অনেকে। তার খারাপ প্রভাবও শরীরে পড়ে।
৩) লক্ষ্য স্থির করা খুব জরুরি। সেই অনুযায়ী প্রতি দিনের কাজ গোছাতে হবে। কোনও কাজই কাল করব বলে ফেলে রাখা উচিত নয়। কাজ শেষ করার অভ্যাস করতেই হবে। কোন কাজের গুরুত্ব বেশি, সেটি নিজেকেই ঠিক করতে হবে। সময় নষ্ট করার বদলে গুরুত্ব বিচার করে কাজকেও ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। তা হলেই লক্ষ্যের পথ মসৃণ হবে। সময়ের গুরুত্ব বোঝার মানসিকতা তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি থেকে বাঁচতে যত দূরত্বে বসে টিভি দেখবেন
৪) অনেকেরই লেখা আসে না। কারণ সবাই লেখক নন। কিন্তু নিজের মনের কথা সহজ ভাষায় লেখাই যায়। ডায়েরি লেখার অভ্যাস থাকলে খুব ভাল। না থাকলে, অভ্যাস করুন রোজনামচা লেখার। সকালে উঠে কাজ শুরু করার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত কী কী কাজ করতে হবে, কোন কাজটি করলেন আর কোনটি পরে করবেন বলে রেখেছেন, সব পয়েন্ট করে লিখে রাখুন। তা হলেই খেয়াল থাকবে যে, ঠিক কী কী কাজ করতে হবে আপনাকে। নিজেই তখন ঘড়ি ধরে সময় ঠিক করে নিতে পারবেন।
৫) আপনি যদি মানসিকভাবে প্রচন্ড হতাশাগ্রস্থ থাকেন তাহলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে সকালে দ্রুত উঠার চেষ্টা করুন। একটি কাজ করতে পারেন, প্রতিদিন সকালে উঠে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে পারেন। এতে আপনার শরীর ও মন ভাল থাকবে যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করবে।
জেবি/আজুবা