উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন:

কক্সবাজার পর্যটন জোনের আধা কিলোমিটার নালায় ১৪৫ অবৈধ স্থাপনা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২১ অপরাহ্ন, ১৬ই জুলাই ২০২৪


কক্সবাজার পর্যটন জোনের আধা কিলোমিটার নালায় ১৪৫ অবৈধ স্থাপনা
ছবি: প্রতিনিধি

কক্সবাজারের কলাতলী এলাকাটি পর্যটন জোন হিসেবে পরিচিত। যেখানে ছোট-বড় অনন্ত ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। এই জোনের ব্লক-এ একটি উপসড়ক। যে উপ-সড়কটি আধা কিলোমিটার নালার উপরে ১৪৫ টি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা পেয়েছে কক্সবাজার পৌর পরিষদ।


পর্যটন নগরী কক্সবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে নালার ওপর নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পরিচালিত অভিযানের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এমন অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার ওই ওয়ার্ডটির কাউন্সিলর এমএ মঞ্জুর।


তিনি জানান, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি জেলাব্যাপী ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যেখানে কলাতলী পর্যটন জোনটি পুরোটাই পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে কলাতলী এলাকায় আসে পৌর কর্তৃপক্ষ। অভিযান এ ব্লক দিয়ে শুরু হয়েছে। এই ব্লকটির আধা কিলোমিটার উপসড়কের উভয় পাশে ১৫০ টির মতো আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫ টি প্রতিষ্ঠানই নালার উপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর রুম, কেউ পান বা চায়ের দোকান, আবার কেউ কেউ রেস্তোরার নাস্তা তৈরি ঘর করেছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে। সব অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও পড়ুন: টেকনাফে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার


কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ এসময় জানান, কক্সবাজারকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নালা দখল মুক্ত জরুরী। এতে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। আমরা পৌরসভার কাজে সহায়তা করছি।


গত বুধবার (১০ জুলাই) রাত থেকে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলাজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। শহরের প্রধান সড়ক, উপসড়ক তলিয়ে বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে পানি। যে জলাবদ্ধতা আগে দেখেনি শহরবাসি। ফলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন শহরবাসী।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর


এর প্রেক্ষিতে শনিবার বিকালে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভার পর পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে রবিবার থেকে নালার অবস্থান নির্ধারণ, দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার পৌর পরিষদ।  


ঘোষণা মতেই রবিবার থেকে এই অভিযান চলছে।


পৌর মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোট ৫ টি নালা। এই নালা দখলকারি হিসেবে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর আগে একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। যে তালিকা তৈরির কাজে সিনিয়র সাংবাদিক জেলা বিশিষ্টজনরা ছিলেন। ওই তালিকাটি ধরেই অভিযান শুরু হয়েছে। নালা আগের অবস্থানে না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।


এমএল/