কুমিল্লার গোমতীতে বাড়ছে পানি, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৬ অপরাহ্ন, ১১ই জুলাই ২০২৫

পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারনে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দু’পাশের চর ডুবে গেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধও ঝুঁকিতে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় গোমতী নদীর দেবিদ্বার পৌর এলাকার বালিবাড়ি, হামলাবাড়ি, বারেরারচর, খলিলপুর বাঁধের অংশ পরিদর্শনে আসেন পাউবো কর্মকর্তাগন। তার বারেরারচর সোনা মিয়ার বাড়ির সামনে অংশ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেন।
এ সময় স্থানীয় অধিবাসী আবুল হোসেন জানান, আমরা এ স্থানের চরের মাঠে বল খেলেছি। গত ৩দিনে নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রোতের ঘূর্ণীপাকে মাঠের অংশটি নদীর গর্ভে বিলিন হয়েগেছে। এখন বাঁধ সংলগ্নে এসে বাঁশঝারে আটকে আছে। পানি বাড়লে বাঁধ রক্ষা ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাবর আবেদন করেছি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যাকবলিত এলাকায় একপ্রান্তে স্বস্তি, অন্যপ্রান্তে উদ্বেগ
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার কুসুমপুর, কংশনগর থেকে দেবিদ্বার অংশের জাফরগঞ্জ, কালিকাপুর, লক্ষীপুর, ভিড়াল্লা, বারেরারচর, খলিলপুর, বালিবাড়ি, দেবিদ্বার, বড়আলমপুর, বিনাইপাড় মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ ব্রীজ পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়। নদীর দু’পাশের চরগুলো ডুবে গেছে। ফলে প্রায় শতাধিক মাছের ঘের, ফসলী জমি ও শাক-সবজির মাঠ তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় চর ডুবে বেড়িবাঁধে পানির ধাক্কা লেগেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, পানি এখন বিপদ সীমার অনেক নিচে আছে। আমাদের বিপদ সীমা ১১.৩০ সেঃ মিঃ, আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৭.৪৮ সেঃ মিটারে নেমে এসেছে।
এ ব্যপারে পরিদর্শনে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান খান জানান, বারেরারচর এলাকায় নদীর স্রােতের ঘূর্ণীপাকে বাঁধ সংলগ্নে আসার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আমরা নদীর ২৯ কিলোমিটার এলাকা নজরধারীতে আছি। পানি শুকালে ১৭৫ কেজী বালুর জিওবি ব্যাগ দিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজ করব। এ ছাড়াও মাটি খেকুরা বুড়িচং উপজেলার কুসুমপুর থেকে দেবিদ্বারের অংশ এবং মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন পর্যন্ত গোমতী নদীর চরের মাটি কেটে নেয়ার সময়, যে- বেড়িবাঁধ কেটে শতাধিক ডাইভেশান রোড তৈরী করেছে, সেগুলোর অধিকাংশই পানিতে ডুবেগেছে। এসব ডাইভেশন রোডগুলো বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে সংস্কারের কাজ করব।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ, দুর্ভোগে মানুষ
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দেবিদ্বারের গোমতী বাঁধের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। ওনারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কারের কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত পৌনে ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালী উজ্জামান জানান, গোমতী পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। পানি বাড়তে থাকলে ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করব আর পানি কমলে আমরা বাঁধের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো বালির জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী প্রতিরক্ষায় বাঁধ সংস্কারে কাজ করব। পানি থাকা অবস্থায় জিও ব্যাগ দিয়ে সংস্কার কাজে আসবেনা। বস্তাগুলো নদীর স্রোতে নিয়ে যাবে।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

ঐকমত্যে পৌঁছলে ৫ আগস্টে জুলাই ঘোষণাপত্র: উপদেষ্টা আসিফ

ফেনীতে বন্যাকবলিত এলাকায় একপ্রান্তে স্বস্তি, অন্যপ্রান্তে উদ্বেগ

যমজ দুই ভাই দেখতে একরকম, এসএসসির ফলও একই

চন্দনাইশে ডা. মোহাম্মদ নুরুল আমিনের স্মরণে নাক, কান ও গলা ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
