হল ত্যাগের নির্দেশে নোবিপ্রবিতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৬ অপরাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৪
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক অফিস প্রজ্ঞাপনের পর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার কর্তৃক হল ত্যাগের নির্দেশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ইউজিসি কর্তৃক একটি অফিস প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত কোটা আন্দোলনকারীদের
পরবর্তীতে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান জানান, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদে হল ছাড়ার সময় স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করে দেবে। এটা নিয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটা জানিয়ে দেবে। শিক্ষার্থীদের সেটা অনুসরণ করতে হবে।’
এরপরই বুধবার (১৭ জুলাই) নোবিপ্রবিতে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি অফিস প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, " কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত এবং বিমক কর্তৃক (১৬ জুলাই) তারিখের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় অদ্য ১৭.০৭.২০২৪ খ্রি. তারিখ রোজ বুধবার দুপুর ০৩: ০০ ঘটিকার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগ এবং নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থান করার জন্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বিবি খাদিজা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাইয়্যেবা খাতুন জানান, " আমরা সাধারন শিক্ষার্থী, ভেবেছিলাম দ্রুত সব ঠিক হয়ে ক্লাস বা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। যার কারনে কিছুদিন আগে অনেক ভোগান্তিতে বাসা থেকে এসেছি। কিন্তু এখন এ সময়ে হল বন্ধ করলে দেশের এ অচলাবস্থাতে আমরা কোথায় যাবো? তাছাড়া আমাদের মত সাধারণ শিক্ষার্থীদের টিউশনও থাকে। হল এ না থাকলে তা চলে যাওয়ার মত অবস্থা। তাই আমরা হল ত্যাগ করবোনা বলে বিক্ষোভ মিছিল করছি"।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণার পর ফাঁকা হচ্ছে ইবি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান বলেন, ' আমরা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হল ছাড়ার নিদর্শনা জানিয়ে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া সময়ের মাঝে হল ছাড়তেই হবে। হল না ছাড়লে আমরা ব্যবস্থা নিবো।'
এমএল/