যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৮ই জুলাই ২০২৪
চলমান কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না এবং ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেক মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহন কম, হেঁটে-রিকশায় গন্তব্যে ছুটছেন রাজধানীবাসী
পথচারীরা জানিয়েছে, মহাসড়কের রায়েরবাগ অংশে ব্যারিকেড দেওয়ার কারণে ঢাকা থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না। ফলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও রয়েছে। অপরপাশে মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় ব্যারিকেডের কারণে কোনো যানবাহন ঢাকায় ঢুকতে পারছে না।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
এর আগে গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ১০টা থেকে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এরপর হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে শনির আখড়ার কাজলা থেকে রায়েরবাগ হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করছিলেন। অপর দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে বিপুলসংখ্যক র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। কিছুক্ষণ পরপর আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে।
জেবি/এসবি