আমেরিকান নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখীনীতি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আমেরিকান নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখীনীতি

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর গণতন্ত্র নিয়ে যে উচ্চ আশাবাদ জেগেছিল সেটা এখন ফিকে হয়ে গেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ আমেরিকান নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখীনীতি। তারা নিজেদের জন্য প্রতিষ্ঠিত উন্নত গণতন্ত্র কে বাকি বিশ্বের কাছে রফতানি না করে সেটা একটা হাতিয়ার বানিয়েছে। গণতন্ত্র না থাকাকে একটি অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করেছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার পরিবর্তে সেটাকে বানিয়েছে চাপ প্রয়োগের মেশিন বা টুল। ইউরোপ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার একজন মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা পায় রাষ্ট্রের কাছ থেকে। সেখানে প্রত্যেকটি মানুষের জীবন সম্মান ও সম্পত্তি পূর্ণ রক্ষিত হয়। রাষ্ট্রীয় বাহিনী কোনো একজন মানুষকে গুম করে ফেলবে, এটা কল্পনাও করা যায় না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা যা খুশি তা করবে এ সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান। তারা তাদের শাসক পরিবর্তনের পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। এই মাপের একটি গণতন্ত্র কেন ভারত বা পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হলো না? ভারতের কথাই ধরুন। দেশটি স্বাধীনতা লাভ করেছে গণতন্ত্রের মাতৃভূমি ব্রিটেনের কাছ থেকে। স্বাধীনতার পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। এতদিনে ইউরোপের স্টাইলে পূর্ণ মানবিক মর্যাদা নিয়ে একটি গণতান্ত্রিকব্যবস্থা ভারতে কায়েম হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ দেশটিতে বিগত একদশকে গণতন্ত্রের প্রত্যেকটি ইন্ডিকেটর নিম্নমুখী। ধর্ম ও সম্প্রদায় প্রশ্নে দেশটির মানুষের মধ্যে বড় ধরনের মর্যাদাগত পার্থক্য রচনা করা হয়েছে। অনেক জায়গায় সংখ্যালঘুরা সম্মান হারাচ্ছে। এছাড়াও পশ্চিমা বিশ্ব নিজেদের চর্চিত গণতন্ত্রকে সারা বিশ্বে সংহত করতে চাইলে বিশ্বের বর্তমান এ বিশৃঙ্খল হাল হতো না। তারা আন্তরিকতা নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই যায়নি। তবে কিছু কিছু দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাক সেটা তারা চেয়েছে। সেজন্য তারা বুদ্ধি পরামর্শ ও অর্থ দিয়ে প্রভাব খাটিয়েছে।

অপরদিকে এশিয়ায় এই ধরনের প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ হচ্ছে তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
আমেরিকা সরাসরি এসব দেশে গণতন্ত্রকে প্রমোট করেছে। চীনের মোকাবেলায় তাইওয়ানে একটি প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তাদের প্রয়োজন মনে হয়েছে, তাই তারা করেছে। একইভাবে উত্তেজিত বিশৃঙ্খল উত্তর কোরিয়ার মোকাবেলায় সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিষ্ঠা তাদের স্বার্থেই প্রয়োজন। এ ধরনের আরো কিছু উদাহরণ সারা বিশ্বে পাওয়া যাবে যেখানে আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্ব চেয়েছিল বলে এসব দেশে তারা উদার সহনশীল ও বহুত্ববাদী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারাও পশ্চিমা বিশ্বের মতো গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করতে পারছে। উপমহাদেশের দেশগুলো নিয়ে তাদের সেই ইচ্ছা ছিল না। এখানে তাদের দরকার ছিল প্রভাব ধরে রাখা। ফলে এ অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেকটি দেশের গণতন্ত্র একেবারে নড়বড়ে। এমনকি ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের কোনো কোনো দেশের, পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র পরিত্যাগ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। এদিকে চীন তাদের শাসনের মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে। এই সুযোগে তারা উচ্চস্বরে এখন বলতে শুরু করেছে, পশ্চিমা গণতন্ত্র ব্যর্থ। অনেক দেশেই এর চর্চা বিশৃঙ্খলা ছাড়া অন্য কিছু বাড়ায়নি। এমন বলার মতো যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত তাদের কাছে রয়েছে।এ দেশগুলোর শাসকরা জনসাধারণের ওপর এমন স্টিমরোলার চালিয়েছে যে, একনায়ক শাসকরাও এমনটি চালায় না। নিজেদের শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য জঘন্য সব অন্যায় তারা করেছে। মানুষের জীবনের মূল্য এসব দেশে কানাকড়িও নেই। যেনতেনভাবে মানুষ হত্যা করা হয়। গুম করে দেয়া হয়। অবৈধভাবে আটক করে রাখা হয়। এই ক্ষেত্রে প্রাণ হারানো কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবার বিচারও পায় না। বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার পথও তাদের বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পশ্চিমা গণতন্ত্রের নামে যা তা শাসন যখন চলছে তখন ভুক্তভোগীরা আমেরিকা ও ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলোর সাহায্য প্রত্যাশা করেছে।

দেখা যাচ্ছে, তারা কোনো ধরনের সাহায্য করা তো দূরে থাক নিজেরাও এই খেলার সাথে যুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে এই অরাজকতা চালাতে দিয়ে পশ্চিমারা অন্যান্য সুযোগ বাগিয়ে নিয়েছে। ব্যাপারটা ছিল, এখন তোমরা জঙ্গলের শাসন কায়েম করো, আমাদের অসুবিধা নেই। তবে আমাদের স্বার্থটা রক্ষা করো।গণতন্ত্র ও মানবাধিকার কে অস্ত্র বানিয়ে পশ্চিমা আধিপত্য ধরে রাখার দিন যখন শেষ হতে চলেছে তখন ডেমোক্র্যাসি সামিটের আয়োজন সামান্য ‘বালির বাঁধ’ দেয়ার মতোই হবে। এ নিয়ে খুব আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। কেউ দাওয়াত না পেলে মর্যাদাহানি হওয়ার খুব বেশি কিছু আছে বলে মনে হয় না। অতীত ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব দুই শিবিরে অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। যেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে সমাজতন্ত্র বিস্তৃতির লক্ষ্যে কাজ করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ান। শুরু হয় উভয় দেশের মধ্যে দীর্ঘকালীন শীতল যুদ্ধ। যা বলবৎ ছিল ১৯৯১ সাল ২৩ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক মডেল সুসংহত করার প্রয়াস হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোকে ‘মার্শাল প্লান’-এর আওতায় ঋণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। কার্যত, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশগুলো পুনর্গঠনের সুযোগ পায়। বলে রাখা ভালো, শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হচ্ছে অর্থনীতিক স্থিতিশীলতা। ফলে সেসব দেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরপরই গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে সক্ষম হয়, যা আজ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামোতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্র বিকাশ ঘটলেও অর্থনীতিক দুরবস্থা, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে খুব বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেনি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত পতনের মধ্যে দিয়ে সমাজতন্ত্রের সূর্যাস্ত ঘটে। ফলে এককভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রোল মডেল।

উল্লেখ্য যে, এখনো বিশ্বে অনেক দেশে কমিউনিস্ট শাসিত সরকার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভিয়েতনাম, কিউবা, চীন যার উদাহরণ। ধারনা করা হচ্ছে, আগামীতে চীন, যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে বিশ্বে নেতৃত্বের চালিকা শক্তিতে অধিষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, পশ্চিমা বিশ্বে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। এর অবদান হিসেবে, বিশ্বে নেতৃত্বে অনবদ্য সমর্থন পেয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দুর্ভাগ্যবশত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর থেকে এখন পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখেনি দেশটি তথা পশ্চিমা বিশ্ব। বরং পরোক্ষভাবে শোষণ ও বিলিয়ন ডলার অস্ত্র বিক্রির খাত হিসেবে রূপান্তরিত করেছে মুসলিম দেশগুলোকে। ১৯৫০ সালে গোড়ার দিকে ইরানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষিত না হওয়ায় এই প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ১৯৫৩ সালে পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট ইরানের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে। ফলে পশ্চিমা বিশ্বের আশীর্বাদ পেয়ে ১৯৮৯ সাল ইরানের বিপ্লবের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষমতার ছিলেন রেজা শাহ। এ দীর্ঘ সময় গণতান্ত্রিক চর্চা অনুপস্থিত ছিল ইরানে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তার যথেষ্ট তথ্য এখনো জানা যায়নি। কিন্তু ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গাকারীদের উন্মত্ততায় এটা স্পষ্ট যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জো বাইডেন যে জিতেছেন, সেটার প্রত্যয়ন যেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স না দেন, সেই চেষ্টাই ট্রাম্প সমর্থকেরা করেছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল একটা ধোঁয়াশার পরিবেশ তৈরি করা, যাতে ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আনা যায়। কিন্তু ট্রাম্প সমর্থকদের এ পরিকল্পনা মাঠে মারা যায়। তাছাড়া জর্জিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়ার মতো রিপাবলিকান রাজ্যের কর্মকর্তা এবং একই সঙ্গে ফেডারেল আদালতের বিচারকেরা ট্রাম্পের পরিকল্পনায় সাড়া দেননি।

এদিকে প্রশাসন ও দলে বিরোধিতা সত্ত্বেও ট্রাম্প এমন রাষ্ট্রদ্রোহী পরিকল্পনা করেছিলেন। অনেকে মনে করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে একই ধরনের পরিকল্পনা আবার আঁটতে পারেন ট্রাম্প। তা সফল করতে গেলে কংগ্রেস, প্রাদেশিক আইনসভা ও ফেডারেল আদালতের শত শত রিপাবলিকান সদস্যের মধ্যে আঁতাত লাগবে। সেটা বাস্তবে ঘটলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্রে এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের মূল দায়িত্বে ট্রাম্প অনুসারী কর্মকর্তারা চলে আসতে পারেন। তাঁরা পেন্স ও বারের চেয়েও বেশি অনুগত ও সুশৃঙ্খল হবেন। কিন্তু সেটা করতে গেলে তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তাঁদের কর্মকাণ্ডের লাভটা এমন একজন কুখ্যাত ও অবিশ্বস্ত লোকের কাছে যাবে, যিনি জনগণকে তাঁর ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেন ও ছুড়ে ফেলেন।রিপাবলিকান প্রার্থীদের ওপর ট্রাম্পের প্রভাব বাড়ছেই। তিনি সেই সব প্রার্থীকেই সমর্থন করছেন, যাঁরা প্রাইমারি কিংবা সাধারণ নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে জিতে আসতে পারবেন। তবে ট্রাম্পের জনসমর্থনের ভিত্তি নিয়েও ধন্দ আছে। ট্রাম্প করোনার টিকা নিলে তাঁর অনেক সমর্থক প্রকাশ্যে তাঁকে টিটকারি করেন।যে কারণে মার্কিন গণতন্ত্র হুমকিতে মার্কিন রাজনীতির শরীরে যে গভীর অসুখ, তারই উপসর্গ হিসেবে ট্রাম্পের মতো জনতুষ্টিবাদী নেতাদের উত্থান। তবে প্রকৃত হুমকি হচ্ছে দ্বিদলীয় মার্কিন রাজনীতিতে নেতাদের মুখের প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবে তার প্রয়োগের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান। এ সমস্যাজনক পরিবেশ ট্রাম্পের মতো নেতাদের উত্থানে সহায়ক। মুক্তবাজার অর্থনীতি বেশির ভাগ মার্কিনির জন্য নতুন ও ভালো মানের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি। এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ নিত্যপণ্যের জন্য চীনসহ অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। গত তিন দশকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে, সেগুলোর সিংহভাগই নিম্ন মজুরির চাকরি।

দুই হাজার সালে মার্কিন তাত্ত্বিকেরা বলেছিলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এ অস্থিরতা স্থায়ীভাবে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু সম্পদের বুদ্বুদের ওপর গড়ে ওঠা অর্থনীতি ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মহামন্দা ডেকে আনে। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার ওপর মার্কিন আগ্রাসনের ফলাফল সরাসরি ব্যর্থতা বয়ে আনে।
এ বিশাল বিপর্যয়ের মূল কারিগরদের অনেকেই পরবর্তীকালে উপদেষ্টা পদে নিজেদের লোভনীয় ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন।কিন্তু মার্কিন গণতন্ত্রের প্রকৃত হুমকি হচ্ছে দেশটির প্রথাগত রাজনীতিকেরা জন-আস্থা অর্জন করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন।এই প্রচেষ্টা বাইডেন প্রশাসন এমন এক সময় নিলেন এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব অনেকটাই ঢিল হয়ে গেছে। বিশ্বমোড়ল হিসেবে তাদের কথা আগের মতো আর খাটছে না। সেই দিক থেকে আমেরিকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির ব্যার্টেলমান ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্যানুযায়ী বিশ্বে দুর্বল প্রশাসন ও গণতন্ত্রের সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বৈষম্য ও নিপীড়ন বিশ্বব্যাপী বাজার অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলেছে। বর্তমান বিশ্বে বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত। যে