রাজধানীতে বিজিবির টহল জোরদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, ২রা আগস্ট ২০২৪

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর একাধিক স্থানেসকাল থেকে শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শিল্পী, চিকিৎসকরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। এর মধ্যে উত্তরা, খুলনা ও সংঘর্ষ, হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সচিবালয়, আগারগাঁও, ডিপ্লোম্যাটিক জোন, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, কাকরাইল মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড়, উত্তরা, মতিঝিল শাপলা চত্বর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকায় টহল জোরদার করেছে বিজিবি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন ও টহলে থাকবে বিজিবি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন পলক
এদিকে রাজধানীর শহীদ মিনার থেকে দ্রোহযাত্রায় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে চার দফা দাবি আদায়ে আগামী শনিবার পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। দাবি মানা না হলে ওইদিন বিকেলে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হবে।
দাবিগুলো হলো,রবিবারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার হওয়াদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ।
দ্রোহযাত্রায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা, লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি ও আটক না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তি-স্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
জেবি/আজুবা