শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভে শিক্ষকদের একাত্মতা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫১ অপরাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৪


শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভে শিক্ষকদের একাত্মতা
ছবি: প্রতিনিধি

শামসুল ইসলাম: শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ সময় সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে এ সমাবেশ শুরু করেন তারা। পরে এক বিশাল র‌্যালি নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহীর রেলগেট তথা শহীদ কামরুজ্জামান চত্বরে এসে মিলিত হোন তারা।


আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল রাজশাহী


বিক্ষোভ মিছিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের শিক্ষকরাও একাত্মতা পোষণ করে এ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।মিছিলে ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার তুই গদি ছাড়’, ‘শিবির ট্যাগের ছলচাতুরী, বুইজা গেছে জনগণ’, ‘দফা এক দাবি এক, স্বৈরাচারের পদত্যাগ’, ‘নয় ছয় বুজিনা, কবে যাবি হাসিনা’, ‘আবু সাঈদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। 


রুয়েট শিক্ষার্থী তানভির হাসান বলেন, সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আজকে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এখানে আমাদের একটাই দাবি সরকার পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থী সমাজ আর ঘরে ফিরবে না। এ আন্দোলন আর কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। পুলিশ প্রশাসন আমাদের ভাইদের ওপর গুলিয়ে চালিয়েছে, তাদেরকে বলব এখন সাবধান হোন। আপনাদেরও ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের দিকে তাকান।



এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। আর কত ঘরে বসে আমার ছেলেদের রক্ত দেখব।


আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম-বগুড়া-রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন


 শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করতে স্বৈরাচার সরকারের কি একটুও বুক কাঁপেনি? আজ থেকে এ আন্দোলনে গুলি চালালে সেই গুলি আগে শিক্ষকদের গায়ে লাগবে, তারপর আমাদের ছাত্রদের। শিক্ষার্থীদের আর কোনো ভয় পাবার কারণ নেই তাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকরা আজ থেকে তাদের সামনে থাকবেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদেরকে সুরক্ষা দিতে সবসময় তাদের সাথেই আমরা আছি। গণহত্যার দায় স্বীকার করে স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন এ অধ্যাপক।


আগামীকাল থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।


এসডি/