রাজধানীতে জুুড়ে গণপরিবহন সংকট, দুর্ভোগ চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা আগস্ট ২০২৪
জুলাই থেকে শুরু হওয়া সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজে। এরপর আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মৃত্যু, গ্রেফতার বদলে গেছে আন্দোলনের ধরন ও কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার ঢল
সরকার পতনের এই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ও সরকারি দলের পাল্টা জমায়েত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সড়কে দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট দেখা । বিশেষ করে অফিসগামীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গণপরিবহনের জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকেই গণপরিবহনের জন্য অফিসগামী মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষা। তবে মিলছে না কোনো বাস। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার পাশে অফিসগামী যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিন খিলগাঁ,বাসাবো, গুলিস্তান, পল্টন, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, মিরপুর ১০ সহ রাজধানীর প্রায় সব সড়কেই এমন অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। রাস্তা ফাঁকা থাকলেও গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা জান্নাতুর রহমান বলেন, আমি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাচ্ছি না। মাঝে মধ্যে কোনো বাস এলে সেটিও থাকছে যাত্রীভর্তি।
বাসাবো থেকে বাংলামোটর গামী যাত্রী রুবেল হোসেন বলেন, আমি প্রায় ৫০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু কোনো বাস পাচ্ছিনা। রিকশা আছে কিন্তু বাংলামটর শুনে যাবে না বলছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল ৩টায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভ মিছিলে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সর্বাত্মক অসহযোগ এর ডাক দেয়।
অন্যদিকে একইদিন দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও দেশজুড়ে সকল বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে জমায়াতের ঘোষণা দেয়।
আরএক্স/