খুলনায় হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
খুলনায় মাহিন্দ্র চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। পালাতক থাকায় এ সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ইলচ্চা বাজার সাদির চর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নূর ইসলাম, একই এলাকার হরিদাসের ছেলে জনি দাস, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার ফল সমস্যা বাজার এলাকার আব্দুর রউফ শিকদারের ছেলে মো. রনি শিকদার ও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ রানা মোল্লা।
শুভেন্দু রায় জানান, আসামিদের মৃত্যুদণ্ড ওই মামলার বিভিন্ন ধারায় আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দস্যুতার অভিযোগে প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, নিহত ওহিদুর রহমানের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার লাবশা গ্রামে। তিনি শেখ তৌহিদুর রহমানের ছেলে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সকালে গাড়ি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন ওহিদুর রজমান। রাতে বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরেরদিন নিহতের ছোটভাই জানতে পারেন খুলনার মহালবণচরা থানার এক ব্যক্তির জমিতে একজন মাহিন্দ্র চালকের লাশ পাওয়া গেছে। সংবাদ পেয়ে নিহতের ভাই খুলনায় এসে তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন। লাশ দাফন শেষে তিনি জানতে পারেন, পুলিশ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থেকে মাহিন্দ্রসহ চারজন আটক করেছে। পরের দিন তিনি লবণচরা থানায় এসে চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামালার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী চারজনকে অভিযুক্ত করে করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করলেন।
ওআ/