জামালপুর কারাগারে বন্দীদের বিদ্রোহ নিহত ৬
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, ৯ই আগস্ট ২০২৪
আমরা জীবিত পায় বা মৃত পায় আমাদের সন্তান দের কে দেখান,আমরা মুক্তি চায় না, আমাদের সন্তানরা ২০ বছর জেল খাটুক কোন সমস্যা নাই, আমাদের আসামি কে জীবিত দেখান বা মৃত দেখান অথবা আমাদের যাদের সন্তান কারাগারে আছে আমরা অভিবাকরা আমাদের কেও গ্রেফতার করে কারাগারে আমাদের সন্তানদের কাছে নিয়ে যান এমন ভাবেই আহাজারি করছিলো জামালপুর কারাগারে বন্দি এক আসামির স্বজন’রা।
আরও পড়ুন: জনবাণীতে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসলো জামালপুরের গণপূর্ত
মো. মনির মিয়া বয়স (২১) গ্রাম চরকারিয়া বকশিগঞ্জ পিতার নাম আব্দুর রহিম। আজ থেকে প্রায় বিশদিন আগে ২ পিছ বিদেশি মদের বোতল সহ তাকে আটক করে জামালপুর ডিবি পুলিশ। মামলাটির এখনো কোন জামিন না হওয়াই মনির কারাগারে। গত ৮ আগস্ট দুপুর একটা থেকে জামালপুর কারাগারে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে।কারণ সম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের সরকার মুক্তি দেয়। এতে অনান্য বন্দিরা তাদের মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে।
(৮ আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দিরা কারাগারে অগ্নিসংযোগ ও ফাটক ভেঙে পালানোর চেস্টা করে। এতে কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারাগারের চারপাশ ঘিরে ফেলে। একটি সূএ থেকে জানাযায়, কারা বন্দিদের মধ্যে যারা বিদ্রোহে অংশ নেয়নি তাদের জিম্মি করে ও নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এতে ঘটনা স্থলেয় ৫ জন ও পরের দিন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন সহ মোট ৬ জন মারা যায়, চিকিৎসাধীন আবস্তায রয়েছে আরও ৫ বন্দি।
এমন ঘটনায় বন্দিদের স্বজনদের মাঝে উদবেগ ও উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝেও কারাগারের সামনে জড়ো হয়েছে বন্দিদের স্বজনরা। চোখে মুখে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তার সাইয়া। তাদের এখন দাবি একটায়, স্বজনরা জীবিত রয়েছে নাকি মৃত শুধু একটি বার চোখের নজর দেখতে চান।
আরও পড়ুন: জামালপুরে বিয়ের আগেরদিন পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
সামগ্রিক ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জেলার আবু ফাওাহ, তিনি বলেন বন্দিদের দুই গ্রুপের মধ্যে বিদ্রোহ সৃষ্টি হয় একগ্রুপ কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং অন্য একটি গ্রুপ তাদের বাধা দেয় এতে তাদের মধ্যে মারামারি সৃষ্টি হয়, এতে আমার জেলখানার ১৩ কারারক্ষীর মধ্যে ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আমাকেও তারা জিম্মি করেছিল পরে আমার কারারক্ষীরা আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে গিয়ে তারা জিম্মি হয়।
বিদ্রোহী আসামিদের মধ্যে ৫ জন ও পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্তায় একজন সহ মোট ছয়জন নিহত হয়। আমরা লাশ গুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। বিদ্রোহিরা কারাগারে আমার অফিসে আগুন দিয়েছিল পরে ফায়ারসার্ভিস এর কর্মীরা দীর্ঘখন পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারাগারের চারপাশে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছে ,এখন পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
এসডি/