যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ অপরাহ্ন, ৯ই আগস্ট ২০২৪
শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শপথ নিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ছাড়াও উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ১৬ জনকে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এরপরই উপদেষ্টাদের হাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। যেখানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তরুণ ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে আন্দোলনকারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আসিফ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র সমন্বয়ক থেকে ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা’ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রথম মিটিং চলছে
আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মো. বিল্লাল হোসেন ও মাতার নাম রোকসানা বেগম। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। নাজমুল হাসান পাপনের স্থলভিষিক্ত হন তরুণ এই ছাত্রনেতা।
এদিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হারালেও বিসিবির সভাপতি পদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি পাপন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আ হ ম মোস্তফা কামালের পর ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব যায় পাপনের ওপর। এরপর থেকে একক আধিপত্য দেখিয়ে দেশের ক্রিকেটকে পরিচালনা করেছেন তিনি। চলতি বছরেই শেষ হবে বিসিবিতে তার তৃতীয় টার্মের মেয়াদ।
আরও পড়ুন: যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম
দীর্ঘ ১২ বছর বিভিন্ন আলোচনা এবং সমালোচনার মধ্য দিয়ে গেলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানে সন্তান হওয়ায় চলতি বছরই ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
বিসিবি ছাড়াও পাপন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের অন্যতম দল আবাহনী লিমিটেডের সাথে প্রায় এক দশক জড়িত আছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবাহনীর ক্রিকেট কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়াও ২০০৬ সালের করপোরেট ক্রিকেট লীগের চ্যাম্পিয়ন বেক্সিমকো ক্রিকেট দলের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী আসরে উপদেষ্টা কমিটির সভাপতিত্ব করেছিলেন। তাই ক্রীড়াঙ্গনের অলিখিত অভিভাবকও ছিলেন তিনি। হকি, ফুটবলসহ অনেক সমস্যা সমাধানের জন্য তার দ্বারস্থ হতেন।
এমএল/