শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবিতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে পূজা-অর্চনা

মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সসম্মানে দেশে ফেরাতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে পূজা-অর্চনা ও প্রার্থনা করেছেন সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক নারী পূজারীরা। এসময় পূজারীরা মানবতার মা শেখ হাসিনাকে দুর্দিনে ভারতে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। 

আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জ থানা-পৌরসভা পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম করছে শিক্ষার্থী

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে অন্যায় ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি সহ বিভিন্ন মন্দির ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান বাবুলের নেতৃত্বে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উলপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আল আমিন মোল্লা (জনি)’র সঞ্চালনায় উক্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান বাবুল, উলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজগর আলী মিনা, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফ ম নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সোহেল খান, উলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুল সিকদার, সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ওসমান মিনা, উলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হায়দার মোল্লা, প্রমুখ। বক্তারা বিএনপি- জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: পুলিশ থানায় ফিরলেও সদরপুরে জনমনে আতংঙ্ক

পরে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে উলপুর ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সহ সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল ইউনিয়নের নিজরা সিকিরপাড়া কালী মন্দিরের সামনে থেকে বের হয়ে পদ্মবিলা ব্রিজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। 

এমএল/