রিকশাচালক হত্যা

টুকু, পলক ও সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৩ অপরাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৪


টুকু, পলক ও সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে
ফাইল ছবি

রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 


বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রশিদুল আলমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।


আরও পড়ুন: টুকু, পলক ও সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ


এর আগে গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এ তিন নেতাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।


এরআগে, গত ২০ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় নিহত রিকসা চালক কামাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত রিকসা চালক কামাল মিয়া (৩৯), নরসিংদী জেলার বেলাবো থানার বাসিন্দা। ঢাকাতে রিকসা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করতেন। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় কামাল মিয়া রিকসা নিয়ে বটতলা গলির মুখে ভিআইপি রোডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করিতেছিল। এমন সময় প্রতিবেশির মাধ্যমে তার স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পল্টন মডেল থানাধীন ভিআইপি রোডস্থ বটতলা গলির মুখে রাস্তার উপর পড়িয়া আছে। তখন বাদী ও তার মেয়ে সাথে সাথে উক্ত স্থানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত সিএনজি যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যর চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 


আরও পড়ুন: গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা


মমলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী লোক মারফত জানতে পারেন তার স্বামী যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই স্থানে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছিলো। আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে রাস্তায় আগুন দেয় এবং বিভিন্ন গাড়ী ভাংচুর করিতে থাকে। তখন পল্টন থানার একজন পুলিশ ডিউটি শেষে মোটর সাইকেল যোগে কাকরাইল হইতে পল্টন থানায় আসার পথে গাজী ভবনের সামনে পৌছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা তাহার মোটর সাইকেল আটক করিয়া মারধর করে এবং তাহার নিকটে থাকা সরকারী পিস্তল ও গুলি, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং তাহার ব্যবহৃত মোবাইল মোটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। তখন পল্টন থানা পুলিশ সংবাদ পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া গুলি ছোড়ে।  দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করিয়া গুলি করিতে করিতে বিভিন্ন গলিতে চলিয়া যায় এবং গলির ভিতর হইতেও গুলি করিতে থাকে। একপর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করিতে করিতে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতিকারীদের গুলির আঘাতে বাদীর স্বামী গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তা পড়িয়া যায় এবং তার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার স্বামী মারা যায়।


জেবি/এসবি