চরফ্যাশনের যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই জেলের ছদ্মবেশ নিয়েও হয়নি রক্ষা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৩৫ অপরাহ্ন, ১৭ই আগস্ট ২০২৪
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান মাতব্বর কে পালানোর সময় গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে তাঁকে মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
লোকমান শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের নান্নু মাতব্বরের ছেলে। জেলের ছদ্মবেশ ধারণ করেও জনতার হাত থেকে রেহাই মেলেনি তাঁর। শুক্রবার বিকেলে মহিপুর থানা পুলিশ লোকমানকে চরফ্যাসন থানায় হস্তান্তর করেছেন বলে চরফ্যাসন থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর গা-ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা লোকমান মাতব্বর,পরবর্তীতে নৌপথে মহিপুর থানার মৎস্যঘাটে গিয়ে জেলে পরিচয়ে আত্মগোপন করেন। ওই ঘাটে থাকা চরফ্যাসনের জেলেরা তাঁকে চিনতে পেরে বিষয়টি স্থানীয়দেরকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুরের বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে আটক করে গণধোলাই দিলে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
এবিষয় ১৬ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে গেলে স্থানীয়রা জানান লোকমানের অত্যাচার, নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে থানা এলাকার মানুষ। এলাকায় মাদক ব্যাবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমিদখলসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা সহ নারী নির্যাতনেও ছিলেন পটু ছিলেন লোকমান, কেউ মুখ খুলতে পারত না ভয়ে। তাঁর অত্যাচারে গ্রাম ছেড়েছে শশীভূষণ থানা এলাকার কয়েকশ পরিবার। তার ক্ষমতার দাপটে অত্র এলাকায় দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছেন। এবং রীতি মতো সে আঙুল ফুলে গলা গাছ হয়েছেন, এছাড়াও চরফ্যাশন, শশীভূষনের জনসাধারণ তার কঠিন বিচারের দাবী জানিয়েছেন
এদিকে চরফ্যাসন ও শশীভূষণ থানা সূত্রে জানা যায়, লোকমানের বিরুদ্ধে চার থানায় চাঁদাবাজি, মারধর, ছিনতাই ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান লোকমান ২০১৫ সালের ২৫ সেটেম্বর রাতে চরফ্যাসন উপজেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি আবদুর রাজ্জাককে শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানহাটে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে, আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তখন সে মামলায় আসামিরা আদালত থেকে খালাস পেয়ে যায়।
নিহত আবদুর রাজ্জাক উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে। রাজ্জাক ২০১৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের দলের সভাপতি ছিলেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী লোকমান মাতব্বর এর নামে চরফ্যাসন থানায় চাঁদাবাজি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। এ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসডি/