অজ্ঞাত স্থান থেকে ক্যাম্পাস খোলার নোটিশ, তিন সপ্তাহ ধরে অনুপস্থিত উপাচার্য
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৪
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সর্বোচ্চ প্রশাসন (উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য) গত ৩ সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। এদিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে উপাচার্য নোটিশ পাঠিয়ে ১১ আগস্ট ক্যাম্পাস খোলার কথা বলা হয়।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের বিবৃতিতে এমন তথ্য উঠে আসে।
আরও পড়ুন: নোবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ
বর্তমান সংকট নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দুই সপ্তাহ পরও নোবিপ্রবিতে সুস্থ একাডেমিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন (উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য) গত ৩ সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত।
এদিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে উপাচার্য নোটিশ পাঠিয়ে ১১ আগস্ট ক্যাম্পাস খোলার কথা বলা হলেও, সাধারণ শিক্ষকগণ ক্যাম্পাসে গিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার সম্পূর্ণ অনুপুযুক্ত পরিবেশ দেখতে পায়। নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে যা বর্তমানে ক্যাম্পাসকে লক-ডাউন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে, যা সাধারণ শিক্ষকদের মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পাশে থাকেননি, উপরন্তু বিভিন্নভাবে অসহযোগীতা ও হয়রানি করেছে। শুধুমাত্র অসহযোগিতাই নয় শত শত শহীদের রক্ত মাড়িয়ে এই প্রশাসন মাসব্যাপী শোক পালনের কর্মসূচি প্রকাশ করেছিল। আগস্টের ১ তারিখ দিবাগত রাতে শোক দিবসের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছিল এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছিল কিন্তু এই গণহত্যার প্রতিবাদে তারা কোন শব্দ উচ্চারণ করেননি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর সড়ক পরিষ্কার করছেন নোবিপ্রবির শিক্ষাথীরা
তাই শিক্ষার্থীদের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগের আন্দোলনকে সাধারণ শিক্ষকগণ যৌক্তিক মনে করে। এমতাবস্থায়, নোবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষকগণ মনে করে বর্তমান প্রশাসনের নৈতিকভাবে এই পদে থাকার কোন সুযোগ নেই।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এসডি/