মাঙ্কিপক্স কী? কীভাবে ছড়ায়?


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৩৮ অপরাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৪


মাঙ্কিপক্স কী? কীভাবে ছড়ায়?
সগৃহীত ছবি

নতুন এক উদ্বেগের নাম হলো মাঙ্কিপক্স। মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত এই রোগটি এবার এমপক্স নামে ফিরে এসেছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কঙ্গোতে কমপক্ষে ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমপক্স অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ। আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থেকে আফ্রিকার কিছু অংশে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে অতি জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও।


আরও পড়ুন: বাইকের মাইলেজ বাড়িয়ে খরচ কমাতে যা করবেন


মাঙ্কিপক্স কী এবং এর লক্ষণ


প্রথমদিকে প্রাণির থেকে মানুষের শরীরে ছড়ালেও বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক ব্যক্তি। এই ভাইরাসটি গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় হলেও তুলনামূলক ভাবে কম ক্ষতিকারক। 


এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পেশিতে এবং পিঠে ব্যথা। এক্ষেত্রে জ্বর হওয়ার পর শরীরে বিভন্ন যায়গাতে ফুসকুড়ি উঠতে পারে। এ ধরণের ফুসকুড়ি মুখ, হাতের তালু, পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে।


ফুসকুড়িতে অতিরিক্ত চুলকানি হতে পারে কিংবা এরসঙ্গে ব্যথা হতে পারে। ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব অথবা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয় এবং শেষে তা পড়ে যায়। আর এই কারণে দাগের সৃষ্টি হতে পারে। 


সংক্রমিত হওয়ার দুই অথবা তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু শিশুসহ আবার কারও কারও জন্য এটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সংক্রমণ যদি গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ‍বিভিন্ন যায়গাতে ক্ষত তৈরি হতে পারে।


আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠতা যেমন: যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ অথবা কাছাকাছি গিয়ে কথা বলার মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াতে পারে। 


এই ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক অথবা মুখ দিয়ে শরীরে মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এই ভাইরাসের মাধ্যমে দূষিত হবে এমন জিনিস, যেমন বিছানা, পোশাক অথবা তোয়ালে স্পর্শ করলে এসবের মাধ্যমেও এমপক্স ছড়াতে পারে।


আরও পড়ুন: আজকের দিনটা বন্ধুর জন্য


বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো ইত্যাদি কোনো প্রাণি যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি সেই সংক্রমিত প্রাণির সাথে অতিরিক্ত কাছাকাছি আসে তখন তিনিও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। ২০২২ সালের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। 


কঙ্গোর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের অনেক বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ছোট শিশুসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও এমপক্স পাওয়া গেছে।


এসডি/