বাইকের মাইলেজ বাড়িয়ে খরচ কমাতে যা করবেন

নিত্যদিনের সঙ্গী বাইকের মাইলেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জ্বালানি তেলের দাম দিন দিন বৃদ্ধিপাচ্ছে তাতে তো আরও মুশকিল। তবে বাইকের মাইলেজ বাড়ানো কিছু কিছু উপায় আছে ব্যবহারকারীর হাতেই। বাইক চালানোর সময় ছোট ছোট কিছু ভুল কমিয়ে দিয়ে থাকে বাইকের মাইলেজ! এ ক্ষেত্রে আপনি  কী করবেন? চলুন তা জেনে নেওয়া যাক—

আরও পড়ুন: রাতে বারবার তৃষ্ণা লাগার কারণ কি?

বাইক চালানোর সময় গিয়ারের সঠিক ব্যবহার করেলে শুধু মাইলেজই বাড়ায় না, রাইডিংকে আনন্দদায়ক করে তোলে এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। আর আপনি যদি বাইকের গিয়ার সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বাড়বে বাইকের মাইলেজ। তবে তার জন্য বাইকের গিয়ার লাগানোর সঠিক উপায় জানতে হবে।

ক্লাচের সঠিক ব্যবহার : বাইকের গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সর্বদা ক্লাচ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা জরুরি। অর্ধেক ক্লাচ চেপে গিয়ার পরিবর্তন করলে বাইকের ক্ষতি হতে পারে। গিয়ার বদলানোর আগে, ক্লাচটা পুরো পুরি চেপে তবেই আপনি গিয়ার বদলান। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে গিয়ার ছেড়ে দিন।

আরও পড়ুন: মেকআপ নিয়ে ঘুমালে যা হয়

সঠিক গিয়ার নির্বাচন : আপনার বাইকের গতি অনুযায়ী সঠিক গিয়ার নির্বাচন করতে হবে। কম আরপিএম-এ উচ্চ গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ পড়ে এবং মাইলেজ কমে যায়। আবার খুব বেশি আরপিএম-এ নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তরিত করলেও ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং গাড়ি বেশি ঘষা খায়। আর এই ক্ষেত্রেও মাইলেজ কমে।

গিয়ার পরিবর্তনের সময় : দ্রুত গতি বাড়াতে চাইলে একটি নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তর করা উচিত। গতি কমাতে একটি উচ্চ গিয়ারে যাওয়া উচিত। সমতল রাস্তায় গাড়ি চালালে, প্রায় ২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে দ্বিতীয় গিয়ার, ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে তৃতীয় গিয়ার এবং ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চতুর্থ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুন: সম্পর্কে একঘেয়েমি শেষ করতে যা করবেন

আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখা অতি জরুরি, গিয়ার পরিবর্তন করার সময় এক্সিলারেটর সামান্য চাপা উচিত। হঠাৎ করে গিয়ার পরিবর্তন করা ঠিক নয়। ঢালু রাস্তায় কম গিয়ারে বাইক চালাতে হবে এবং লাল আলোতে নিউট্রাল গিয়ারে রাখতে হবে।

বাইক নিয়মিত সার্ভিসিং কারাতে হবে। প্রয়োজনে ক্লাচ, গিয়ার এবং এক্সিলারেটরের তার পালটাতে হবে। সঠিক বায়ুচাপসহ টায়ার ব্যবহার করতে হবে।

এসডি/