ফুলসজ্জিত গাড়িতে বিদায়ী শিক্ষককে পৌঁছে দেওয়া হলো বাড়িতে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪০ অপরাহ্ন, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে ফুলসজ্জিত গাড়িতে শফিকুল ইসলাম নামে এক স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষককে বিদায় জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে তাকে এই ফুল সজ্জিত গাড়িতে বাদ্যর তালে তালে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। শফিকুল ইসলাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর কংশ নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উজানচর কংশ নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলার একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অত্যন্ত সুনামের সাথে দীর্ঘ ৩৬ বছর শিক্ষকতা করেছেন তিনি। অবশেষে চাকরি জীবন থেকে অবসরে গেলেন তিনি। তার এই বিদায় বেলা স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ব্যবস্থাপনা কমিটি।
স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বিদায় সংবর্ধনা। অনুষ্ঠান শুরুর আগে গাড়িতে করে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে ক্রেস্টসহ নানান প্রকার অসংখ্য উপহার সামগ্রী শফিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরে বিদায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষককে ফুল সজ্জিত গাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। পেছনে ছিল বাদ্যযন্ত্রের দল।এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।
বিদায়ী শিক্ষক শফিকুল ইসালাম বলেন, চাকরিতে যোগদানের আগে প্রতিটি শিক্ষককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কিন্তু বিদায়ের বেলায় তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকে না। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রতিটি শিক্ষককে এভাবেই বিদায় জানানো হোক। এ সময় তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারের ৪ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বাঞ্ছারামপুর উজানচর কংশ নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ফুলসজ্জিত গাড়িতে করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিদায়বেলায় অনেকের মন ভারাক্রান্ত থাকে। তিনি যেন আনন্দ ও হাসি মুখ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারেন তার জন্যই এই আয়োজন। বিদায়বেলায় তার মুখে হাসি দেখে আমরাও আনন্দিত।
এসডি/