জোবায়দা রহমান ও তার বোন মায়ের দুইটি লকার জিম্মা দেওয়ার নির্দেশ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৩ অপরাহ্ন, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


জোবায়দা রহমান ও তার বোন মায়ের দুইটি লকার জিম্মা দেওয়ার নির্দেশ
ফাইল ছবি

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার দুইটি লকারে থাকা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান,তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলংকারাদি (স্বর্ণের চেইন,হাতের বালা,আংটি) জিম্মা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব অলংকারাদি ২০০৭ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জিম্মায় ছিল।আদালত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জিম্মায় বাতিল করে কাষ্টমারদের অনুকূলে চালু (operate) করতে অনুমতি প্রদান করেন।


আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ৭, মামুন ৮ দিনের রিমান্ডে


বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।


এ বিষয় শাহিনা খানের আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া বলেন,বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান,তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার দুইটি লকার ছিল।সেখানে তারা অলংকারাদি,রুপা রাখা ছিলো। ২০০৭ সালে ধানমন্ডি থানার জিডি মুলে লকার দুইটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদ এর নিকট আদালত জিম্মায় প্রদান করে।আমরা লকারসমূহের হিসাবধারি তথা পরিচালনাকারী তথা কাষ্টমারদের অনুকূলে চালু (operate) করতে আদালতে আবেদন করি।আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ


আদালত আদেশে উল্লেখ করেন,২০০৭ সালের ২৫ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় জিডি মূলে জোবায়দা রহমান (স্বামী-  তারেক রহমান),জোবায়দার বোন শাহিদা খান এবং তাদের মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে বরাদ্দকৃত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখায় থাকা ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ নং লকার থেকে ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলংকারাদি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ঐ দিনই জব্দকৃত অলংকারাদি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদ এর নিকট আদালত জিম্মায় প্রদান করে।


পরবর্তীতে দরখাস্তকারি শাহিনা খান দরখাস্তকারি স্বয়ং, তার মাতা ইকবাল মান্দ বানু ও সহোদর বোন জোবায়দা খান এর যৌথ নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় বরাদ্দপ্রাপ্ত লকার চালু করার আদেশ দানের জন্য আদালতে আবেদন করেন এবং তদপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে তদন্তকারি কর্মকর্তা তথা ধানমন্ডি মডেল থানা একাধিকবার প্রতিবেদনও দাখিল করেন।  ইতিপূর্বে ধানমন্ডি মডেল থানা কর্তৃক দাখিলী প্রতিবেদনসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায়- জিডিমূলে জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে আর কোন মামলা মোকদ্দমা নাই। উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়- জব্দকৃত আলামত অলংকারাদি উক্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা-র কাস্টডিতেই জমা আছে।


এমতাবস্থায় সার্বিক পর্যালোচনায় যেহেতু জব্দকৃত আলামত বিষয়ে আর কোন মামলা নাই এবং যেহেতু দরখাস্তকারী কথিত লকার পরিচালনাকারিদের অনুকূলে তা চালু করার আবেদন করেছেন এবং যেহেতু এতে রাষ্ট্রপক্ষের কোন আপত্তি নাই সেহেতু আবদুল্লাহ আল জায়ীদ, সেলস টিম ম্যানেজার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা বরাবর জব্দকৃত আলামতের জিম্মা বাতিল করা হলো, জিম্মানামা নথিভুক্ত করা হোক। এবং অন্য কোন আদালতের ফ্রিজাদেশ না থাকা সাপেক্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার হিসাব নম্বর ১৮-১২০৪-৭৮৫ এর অধীনে যৌথ লকার ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ অতিসত্বর উক্ত লকারসমূহের হিসাবধারি তথা পরিচালনাকারী তথা কাষ্টমারদের অনুকূলে চালু (operate) করতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখা কর্তৃপক্ষ কে নির্দেশ প্রদান করা হলো।


জেবি/এসবি