রাষ্ট্রপতির সেকেন্ড হোম ইস্যু নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫১ অপরাহ্ন, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সেকেন্ড হোম নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আলোচিত এ বিষয়টি সংবেদনশীল বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। খুবই সেনসেটিভ (সংবেধনশীল)। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখুক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি যুক্ত হয়ও, শেষ পর্যায়ে গিয়ে হবে। তখন দেখা যাবে। এটা নিয়ে আমি আসলে কোনো কথা বলতে চাই না। এটার মধ্যে আইনগত দিক আছে, রাষ্ট্রপতির নিজের ব্যাপার আছে। এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করা আমার কাজ না।”
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্কের পথে বড় বাধা সীমান্ত হত্যা: উপদেষ্টা তৌহিদ
রাষ্ট্রপতির সেকেন্ড হোম থাকার বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এর সঙ্গে রিলেটেড (যুক্ত) কোনো কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের না। স্পেকুলশের (অনুমান) ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না।”
রাষ্ট্রপতি আসলেই মালয়েশিয়ার নাগরিক কি না, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা জানতে চাইবে কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি স্পেকুশেনের (অনুমানের) ভিত্তিতে আমাদের মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে কিছু জানতে চাইব না।”
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের নতুন এমডি আব্দুর রউফ
সেকেন্ড হোম হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি হওয়া যায় কি না—তার উত্তরে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করেন।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বেশকিছু ছবি দিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশের সেকেন্ড হোম রাষ্ট্রপতি। এই পোস্টটিকে কেন্দ্র করেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

যুবদের জনসম্পদে রূপান্তরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ

রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি হবে মাইলফলক: শিল্প উপদেষ্টা

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন

নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: ফরিদা আখতার
