খোলা আকাশের নিছে পিঠা বিক্রি করে সফলতায় ওমর ফারুক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


খোলা আকাশের নিছে পিঠা বিক্রি করে সফলতায় ওমর ফারুক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: অর্ডার দিয়ে লম্বা লাইনে আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে পেতে হয় একখানা ভাপাপিঠা। চালের গুঁড়া, পাটালি গুড় আর নারকেল দিয়ে বানানো ভাপাপিঠার স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ এসে ভিড় জমায় শীতের বিকেলে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ার ওমর ফারুক এর দোকানে। বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা খাওয়ার ধুম। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে টাকা জমে ৬ থেকে ৭ হাজার। এতে তার দুই হাজার টাকার মতো প্রতিদিন লাভ হয়। গড়ে তার মাসিক আয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পিঠা বিক্রি করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন জালিয়াপাড়ার ওমর ফারুক ।

সরেজমিন দেখা যায়, জালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের পাশে  ভাপাপিঠার দোকান। দোকানির নাম ওমর ফারুক। প্রায় ৫বছর ধরে এখানে শীতের মৌসুমে ভাপাপিঠা বিক্রি করে আসছেন তিনি। দেখা যায়, কাগজে মোড়ানো ছোট একটি চৌকির ওপর ধোঁয়া ওড়ানো গরম পিঠা নামাচ্ছেন আর দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। পিঠা তৈরির জন্য চন্দ্রাকারে তিনটি চুলায় পাতিল বসানো। চুলাগুলোতে আগুন জ্বলছে আর পানি ভর্তি পাতিলের মুখে বসানো মাটির সাঁজের ফুটো দিয়ে বাষ্পের তাপে ভাপাপিঠা তৈরি হচ্ছে। একজন সহকারী তা বিক্রি করছেন। পিঠা খাওয়ার জন্য আসা মোঃ ওসমান গনী বলেন, সন্ধ্যার পর পিঠা পেতে লম্বা লাইনে আধাঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে গুড় নারকেলের ভাপাপিঠা খেতে আসে।

বছর তিনএক আগে তিনি জালিয়াপাড়া পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় শীতের বিকেলে ভাপাপিঠা বিক্রি করতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে তিনি সফলতার মুখ দেখতে থাকেন। জিজ্ঞাসা করা হলে ওমর ফারুক জানান, ১০ টাকা পিস পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন তার জমে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা এবং গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। এতে তার মাসিক আয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এই আয় দিয়ে সংসার চালিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার শেখাচ্ছেন। তিনি এখন পরিবার নিয়ে ভালো আছেন। স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন।