জাবিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভূমিকা


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০৮ অপরাহ্ন, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪


জাবিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভূমিকা
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মারধরের শিকার সাবেক শাখা ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার ঘটনায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


বুধবার ( ১৮ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনসহ অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।


আরও পড়ুন: ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল


এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বিকেলের মারধরের সময় ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেইটের বাইরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। সে ঘটনাকে ক্যাম্পাসের ভেতর তুলে নিয়ে আসার পেছনে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কোনো স্বার্থ আছে কিনা এই বিষয়েও যথেষ্ঠ প্রশ্ন উঠেছে।


পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় প্রক্টরিয়াল টীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আনতে ব্যর্থ হন তারা ৷ প্রক্টর অফিসের সামনে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় গণপিটুনি দেয়া হয়। এমনকি তৃতীয় দফায় কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে শামিমকে মারধরের সময়ও তারা কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেননি।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সুদীপ্ত শাহিন একজন হত্যা মামলার আসামী। অপরাধী হয়েও তিনি কিভাবে আরেকজনের নামে মামলা করেন। এই মামলায় ব্যাক্তিগত আক্রোশ এবং নিজেকে হত্যা মামলা থেকে বাঁচানোর জন্যই তিনি উঠে পরে লেগেছেন। একজন সুষ্ঠু মানুষ নিজে হেটে পুলিশের ভ্যানে উঠার পর হঠাৎ করেই কিভাবে মারা যায় এখানেই আমাদের প্রশ্ন? আমরা যতটুকু জানি শামিম ভাই মাদক বিজনেস এর সাথে জড়িত এবং তার সাথে নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন নিজেও যুক্ত কিনা প্রশাসনকে এই বিষয়ে তদন্ত করার আহবান জানাচ্ছি।


আরও পড়ুন: নোবিপ্রবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন


এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন বলেন, তিনি বেলা পাঁচটা চল্লিশের দিকে একটা ফোন কল পান। তাৎক্ষনিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাসেল শাহীনের নির্দেশে প্রক্টরের প্রটোকলে শামীমকে প্রক্টর অফিসে উঠিয়ে নিয়ে আসে। আমরা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বহিরাগতদের থেকে ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখার কাজ করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মাঝে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো প্রক্টর স্যার দেখবেন।


উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক।


এমএল/