১৬ বছর পর বৈধভাবে হলে সিট পেয়ে যা বলছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
আল জুবায়ের: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামীলীগ সহ তার সকল অঙ্গসংগঠন গা ঢাকা দিতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায় এক যুগেরও বেশি একক রাজত্ব কায়েম করা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের পালিয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর কলেজ প্রশাসনের সহায়তায় আবাসিক হলগুলোতে মেধা ও বৈধভাবে সিট বরাদ্দ পেয়ে স্বস্তিতে হলে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের রেখা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কলেজের বিভিন্ন হলেরর প্রভোস্ট, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে ছাত্রাবাসের সিটে বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীদের হল খুলে দেওয়া ও সিট বণ্টনের উদ্বোধন করেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।
আরও পড়ুন: কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ পদে যাদের সম্ভাবনা
কলেজ প্রশাসনের সহায়তায় বৈধ ভাবে সিট পেয়ে দক্ষিণায়ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ নাঈম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ হলে সিট পেয়েছি খুব ভাল লাগছে। আমরা এমন শান্তিতে হলে থাকতে পারবো বলে মনে করি। পূর্বের ন্যায় ছাত্রলীগের মতো কোনো রাজনীতি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক যাওয়া লাগবে না। সবাই সুন্দর ভাবে পড়াশোনা করতে পারবো আমরা।
তবে বর্তমানে হলে উঠে কিছুটা স্বস্তি পেলেও কতদিন সেটা অব্যহত থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী বলছেন, পূর্বে ছাত্রলীগের অত্যাচারে তারা হলগুলোতে উঠতে পারতেন না। হলে উঠতে গেলে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক ছিল। তাদের কথা না শুনলে ম্যানার শেখানোর নামে নানাভাবে নির্যাতন করতো।
আরও পড়ুন: জাবিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভূমিকা
জানা যায়, গত ১৬ বছরে ঢাকা কলেজের হলগুলোতে বিভিন্ন সময়ে গ্রুপিং রাজনীতিতে প্রাণ গেছে একাধিক শিক্ষার্থীর। ২০১২ সালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফারুক নামের পদার্থবিজ্ঞানের এক নিরীহ শিক্ষার্থী মারা যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সবুজ আলি নামের এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত-নিহত হয়েছেন।
হলে ওঠার বিষয়ে হাসান আরিফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। অনেক স্বপ্ন নিয়ে উঠেছিলাম হলে তবে দুই মাস থাকার পরেই চলে যেতে হয়েছিল। এবার অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কলেজ প্রশাসন এবার সম্পূর্ন মেধার ভিত্তিতে সিট দিয়েছে তাই হলে উঠলাম। তবে, কতদিন এমন পরিস্থিতি থাকবে জানি না। আমরা সুন্দর একটি ঢাকা কলেজ গড়তে চাই।
জেবি/এসবি