দুই হলে একইদিনে ৩ ফোন চুরি, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৪


দুই হলে একইদিনে ৩ ফোন চুরি, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রতিনিধি

আল জুবায়ের: ঢাকা কলেজের দুই আবাসিক হলে একই দিনে ৩ টি ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। ফলে, আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্কে বিরাজ করছে। 


বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা কলেজের পশ্চিম ছাত্রাবাস থেকে দুটি ও দক্ষিণ ছাত্রাবাস থেকে একটি এন্ড্রোয়েড ফোন চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর হলগুলোর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। 


ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী পশ্চিম ছাত্রাবাসের পার্থ গাইন বলেন, আমরা নিচ তলায় থাকি। সকালের দিকে ঘুম থেকে উঠে আমার রুমমেট ওয়াশরুমে গিয়েছিল আর আমরা বাকি দুইজন ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের ফোন নেই যা খুবই দুঃখজনক।


আরও পড়ুন: হলে কম সিট পেয়ে শিক্ষককে হেনস্তা করল ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা


নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কলেজ প্রশাসনের উচিত প্রত্যেক হলে দ্রুত সিসিক্যামেরার ব্যবস্থা করা। হলে আমরা আর্থিক সমস্যার কারনেই থাকি। তবে, যদি উল্টা আমাদের জিনিস চুরি হয়ে যায় তাহলে আমাদের কি হবে? 


সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হলগুলো চালু হলেও মাঝে পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার পরও হলের বিভিন্ন রুমের দরজা, জানালা সংস্কার করা হয়নি। অনেক রুমের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। কোনো হলেই নেই দারোয়ান, নিরাপত্তারও ঝুঁকি রয়েছে। সিসিক্যামেরা থাকলেও সেগুলোও নষ্ট। খোলামেলা হওয়ায় অপরিচিত কে কখন আসা যাওয়া করেন তা চিন্হিত করা কষ্টসাধ্য। 


শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। দ্রুত সবকিছু সংস্কার চান তারা।


আরও পড়ুন: ১৬ বছর পর বৈধভাবে হলে সিট পেয়ে যা বলছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা


হল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করে দক্ষিণ হলের মো. রাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হলগুলোতে যেভাবে চুরি শুরু হয়েছে দ্রুত কলেজ প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সব হলে সিসিক্যামেরা বাধ্যতামূলক থাকা প্রয়োজন। আমাদের হলের বিভিন্ন রুমের দরজার সিটকিনি নেই, জানালা ভাঙা আমরা বার বার বলার পরও তেমন কোনো সমাধান পাচ্ছি না। ফলে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 


এই বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম ছাত্রবাসের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর অখিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি শুনেছি যা খুবই দুঃখজনক। দীর্ঘদিন সিসিক্যামেরা অকেজো হয়ে পড়েছিল। ইলেকট্রিক মিস্ত্রির সাথে কথা বলেছি যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করছি। 


এমএল/