নির্মাণাধীন বাড়িতে ঝুলছিল আ. লীগ নেতার মরদেহ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫৬ অপরাহ্ন, ১লা অক্টোবর ২০২৪


নির্মাণাধীন বাড়িতে ঝুলছিল আ. লীগ নেতার মরদেহ
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায়  নির্মাণাধীন ভবন থেকে নজরুল ইসলাম ঢালি (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের মফিজুল ইসলাম প্রধানের নির্মাণাধীন ভবনের দোতলার সিঁড়ির পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


মৃত নজরুল ইসলাম ঢালি খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি তার বাড়ি। স্ত্রী ছাড়াও ২ সন্তান রয়েছে তার।


আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম ঢালির স্ত্রী জানান, গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১০টা পর্যন্ত ফিরে না আসায় স্বামীর মুঠোফোনে কল দেন। বাড়ি ফিরছি বলে জানালেও রাত ১২টায় আর বাড়ি ফেরেননি। মুঠোফোনে কল হলেও তা আর রিসিভ করেননি নজরুল। স্বামীর এমন পরিণতির জন্য কাউকে দায়ী না করলেও মৃত্যুর ঘটনা উদ্‌ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চান তিনি। তাদের কোনো শত্রু নেই বলেও জানান নজরুল ইসলামের স্ত্রী।


আরও পড়ুন: কোটচাঁদপুরে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী তালের ডোঙ্গা বানাতে ব্যস্ত কারিগর


খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন রিপন জানান, দীর্ঘদিন তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন নজরুল ইসলাম ঢালি। কখনো কারও সঙ্গে বিরোধ বা ঝগড়া হয়েছে এমনটা চোখে পড়েনি। নিজ দল ছাড়াও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান ছিল নজরুল ইসলামের।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজনীতির বাইরে ছোটখাটো ব্যবসা ছিল নজরুল ইসলাম ঢালির। মোটা অঙ্কের টাকার ঋণে জর্জরিত ছিলেন তিনি। এই নিয়ে গত কিছুদিন অনেকটা হতাশাগ্রস্ত দেখা গেছে তাকে।


আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার প্রাণহানি


মঙ্গলবার দুপুরে নজরুল ইসলাম ঢালির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।


এদিকে,  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) রাশেদুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, বাহ্যিকভাবে মরদেহের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তারপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে দেখতে পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে থানা ও পুলিশের অন্য সংস্থাগুলোও প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে।


জেবি/এসবি