Logo

কোটচাঁদপুরে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী তালের ডোঙ্গা বানাতে ব্যস্ত কারিগর

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২৯ আগস্ট, ২০২৪, ২৪:৩৬
41Shares
কোটচাঁদপুরে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী তালের ডোঙ্গা বানাতে ব্যস্ত কারিগর
ছবি: সংগৃহীত

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া তালের ডোঙ্গা নতুন প্রজন্মের কাছে অদ্ভুত নাম।

বিজ্ঞাপন

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া তালের ডোঙ্গা নতুন প্রজন্মের কাছে অদ্ভুত নাম।  তালগাছ তালের সাথে কোন সম্পর্ক রয়েছে। তালের ডোঙ্গা অর্থাৎ তালগাছ থেকে তৈরি ছোট নৌকা নামে এক সময় পরিচিত ছিল । ডোঙ্গা শব্দের  মূল উৎপত্তি হয়েছে ডিঙ্গি থেকে। ডিঙ্গে অর্থ ছোট। তালের ডোঙ্গা মূলত নির্মাণ করা হয় তালগাছ থেকে। 

এক সময় কোটচাঁদপুর অঞ্চলে অধিকাংশ  বিল ও হাওড় এলাকায় প্রচুর তালের ডোঙ্গা দেখা যেত কিন্তু কালের স্রোতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তালের ডুঙ্গা আজ বিলুপ্তির পথে।  এক সময় কপোতাক্ষ, চিত্রা, বলুহর বাওড়, জয়দিয়া বাওড় ও কুশনা বাওড়সহ খাল বিলে  গ্রামের মানুষের মাছ ধরার প্রধান বাহন ছিল এই তালের ডোঙ্গা। 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মূলত তালের ডোঙ্গা  ব্যবহার করা হতো মাছ ধরা, শাপলা তোলা, শামুক সংগ্রহ করা অথবা সাঁকোবিহীন কোন বিল পার  হওয়ার জন্য। বিশেষ করে  কোটচাঁদপুরে বিভিন্ন নদী, হাওড়, খাল, বিলে তালের ডোঙ্গা  দেখা যায় না। তবে উপজেলার কুশনা ইউনিয়নে বহরমপুর গ্রামে হঠাৎ কানে ভেসে আসে খট খট শব্দ। 

ঘুরে তাকিয়ে দেখি,  লম্বা কালো আকৃতির মাটিতে পড়ে আছে। এক মাথা মোটা আর অন্য মাথা  চিকন।  লম্বা বাঁশের সাথে সাদা রংয়ের রশি  বেধে একজন ব্যক্তি মোটা মাথার দিকে খট ফট শব্দ করে কি যেন করছে। কাছে গিয়ে দেখি তালের ডোঙ্গা তৈরি করছে মিস্ত্রি আতিয়ার রহমান। তার হাতে থাকা হাতুড়ি, বাটালি আর বাইশের সাহায্যে। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনেক বছর ধরে এই ডোঙ্গার কাজ করে আসছে। এই গ্রামে শুধু আমিই তালের ডোংগা তৈরি  করতে পারি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান যুগের সন্তানরা তো এখন তালের ডোঙ্গা কি এটা চিনে না।  প্রবীণরা বলেন, এখনো বর্ষা মৌসুমে আমরা তালের ডোঙ্গা অনুধাবন করি। আমি তালের ডোঙ্গা নির্মাতা হওয়ায় এলাকার মানুষ তাদের ডোঙ্গা তৈরির জন্য আসতো।

বিজ্ঞাপন

তার কাছ থেকে জানা যায়, তালগাছে অধিক্যতার কারণে এলাকায় ডোঙ্গা  তৈরির কাজ সহজ ছিল, ডোনা তৈরীর কাজ করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করত। নানা কারণে তালের ডোঙ্গা নির্মাতারা হারিয়ে গেছে, সেই সাথে হারিয়ে গেছে ডোঙ্গাও। বর্তমান তালের ডুঙ্গা নির্মাণ হয় না বললেই চলে। 

বিজ্ঞাপন

মিস্ত্রি আতিয়ার রহমান বলেন, ডোঙ্গা টিকিয়ে রাখতে নদী খনন করতে হবে। তালের ডোঙ্গা পরিবেশবান্ধব ও সহজ নৌযান। এ ধরনের নৌযান টিকিয়ে  রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে নতুন প্রজন্মের সন্তানরা তালের ডোঙ্গা আর  চিনবেনা।

বিজ্ঞাপন

এসডি/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD