মহেশপুরে বস্তায় আদা চাষে সফল কৃষক মহাসিনন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৮ অপরাহ্ন, ২৫শে আগস্ট ২০২৪


মহেশপুরে বস্তায় আদা চাষে সফল কৃষক মহাসিনন
ছবি: প্রতিনিধি

খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধিকরা ও ভেষজগুণে সমৃদ্ধ জনপ্রিয় মসলা আদার চাষ করে বাজিমাত করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আদাচাষি মহাসিন আলী। মহেশপুর কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথম বারের মত তিনি পতিত জমির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে বস্তায় (ব্যাগিং পদ্ধতিতে) আদা লাগিয়ে সাড়া ফেলেছেন।


 তার দেখাদেখি এখন গাড়াবাড়িয়া গ্রামের অনেকেই বস্তায় আদা চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে মহাসিন আদা চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, এরপর প্রনোদনা বীজ সার ও তাদের পরামর্শ নিয়ে চাষ শুরু করেন বলে জানান মহাসিন।


আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে সাতক্ষীরা কারাগার থেকে পলাতক আসামি গ্রেফতার



ত করেন। পরীক্ষামূলকভাবে ৪ কাঠা জমিতে সাড়ে চার শ বস্তায় মাটি ভরাট করে টবের মতো করেন তিনি। প্রতিটি বস্তায় তিন থেকে চারটি করে আদার চারা রোপণ করেন। মহাসিন আলী বলেন, “এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো,পতিত জমিতে খুবই সীমিত খরচ আর অল্প শ্রমে চাষ করা সম্ভব। একেকটি বস্তায় প্রায় দুই কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। 


আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝে মধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। এভাবে আদা চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় অল্প পরিসরে চাষ করেছি। এ বছর যদি লাভ ভালো হয়, তাহলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে আদা চাষ করবো।


একটি বস্তায় চারা রোপণ করতে মোট খরচ প্রায় ৪৫ টাকা। কিন্তু একেকটি বস্তায় আদা পাওয়া যাবে প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি। বর্তমানে দুই কেজি আদার বাজার মূল্য ২০০ টাকা। মহাসিনের এ পদ্ধতিতে আদা চাষ দেখে এলাকার অনেক মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আদা চাষ দেখতে আসেন অনেকে। 


আরও পড়ুন: মহেশপুর সিমান্তে ভারতীয় পুলিশ গ্রেফতার


স্থানীয় বাসিন্দা জালাল বলেন, এভাবে আদা চাষ এর আগে আমি দেখিনি। এটি দেখার পরে আমাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমেলেন্দু কুমার প্রমানিক বলেন, অনেকের আদা চাষের উঁচু জমি নেই। তাই পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাড়ির পরিত্যক্ত জমিও কাজে লাগছে। গাড়াবাড়িয়া ছাড়াও বগা,পাতিবিলা, নাটিমা এলাকায়ও আদার চাষ হচ্ছে।


মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, আদা চাষে খুব বেশি খরচ নেই। একটি বস্তায় ১০ কেজি মাটি, চার কেজি জৈব সার, এক কেজি ভার্মি কম্পোস্ট দিতে হবে। সেখানে আদার বীজ লাগিয়ে দিলে ১০ মাসে ভালো ফলন আসে। তিনি আরও পরীক্ষা মূলকভাবে বস্তায় আদা চাষ মহেশপুরে ভালো সাড়া ফেলেছে। উপজেলায় ১৩ হাজার ৭০০ বস্তায় আদার চাষ হয়েছে। সেখানে ১০-১২ টন আদা উৎপন্ন হবে বলে আশা করছি।


এসডি/