মানুষের মনে প্রশ্ন কিভাবে এই পরিবর্তন সম্ভব হলো: তাজুল ইসলাম


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩০ অপরাহ্ন, ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪


মানুষের মনে প্রশ্ন কিভাবে এই পরিবর্তন সম্ভব হলো: তাজুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

সঠিক জবাবদিহিতার মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। ১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী সরকারি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে যাত্রাশুরু করে বিআরটিসি। যাত্রাশুরুর মাত্র ৫ বছর পর ১৯৬৮ সালে আনুষ্ঠানিকর ভাবে মিরপুর ইপিআরটিসি বাস ডিপোতে প্রথম দোতালা বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করে সংস্থাটি।


জানা যায়, ইতোমধ্যে কন্ডাকটর -ডি (কাউন্টার ম্যান) পদে ২০০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে বিআরটিসি। এর মধ্যে ১৮২ জন কাজে যোগদান করেছে। এদের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৯ জন। নতুন ও তরুণদের স্বমন্বয়ে একটি আধুনিক বিআরটিসি গঠন হয়েছে। এর আগে অনেকেই কাজ না করে বেতন নেওয়ার প্রবনতা থাকলেও এখন তা চিরতরে বন্ধ করে 'নো ওয়ার্ক নো পে' নীতিতে চলছে বিআরটিসি।


আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক


টেকনিক্যাল বিভাগকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বিআরটিসি প্রতি মাসে ২০টি গাড়ি বানানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে। আগে গাড়ি মেরামতের নামে অনেক বিল ভাউচার জমা হতো। এখন এই ভাউচার প্রথা বন্ধ করেছে সংস্থাটি। সংস্কার উপযোগী গাড়িগুলোকে নিজেরায় সংস্কার করে চালানোর উপযোগী করছে বলে জানা যায়।


২০২১ সালের পর থেকে নতুন গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বেতন পরিশোধ করেছে বিআরটিসি। বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে মো. তাজুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে বিআরটিসি থেকে বৈষম্য দুর হয়েছে। তিনি যার যার প্রাপ্য অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। যার জন্য বিআরটিসির কর্মচারীরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংকে তাদের টাকা পেয়ে যায়।


আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী


জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে ৩ মাস অন্তর অন্তর অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি ও ছুটি নগদায়নের অর্থ প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ২৯৬ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি ও ছুটি নগদায়ন বাবদ ৪৫ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৮৬১.৪৪ প্রদান করেছে বিআরটিসি। এছাড়াও অসুস্থ ও দুরারোগ্য আক্রান্ত ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে কল্যাণ তহবিল হতে ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।


বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক ব্যাবস্থাপনা যদি স্বচ্ছ না হতো বিআরটিসির রূপরেখার পরিবর্তন হতো না। আমরা প্রথমেই সঠিক পরিকল্পনা করেছি এবং সেই আলোকে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। এক সময় আয় ব্যায়ের কোন স্বচ্ছতা ছিল না। মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। এখন মানুষের মনে উল্টো প্রশ্ন রয়েছে কিভাবে এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে? বিআরটিসিতে বেতনের পরিমাণ কিভাবে ৬ কোটি থেকে ১২ কোটি করা হলো।


এমএল/