বন্যায় শেরপুর-ময়মনসিংহে তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ৫ই অক্টোবর ২০২৪

ভারী বর্ষণ ও পাহাড় থেকে ঢল আসার ফলে শেরপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় অন্তত ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে পড়ছে। গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে নদী দুটির পানি বাড়তে শুরু করে। রাতে পানির তোড়ে পোড়াগাঁও, রামচন্দ্রকুড়া, নয়াবিল, বাঘবেড় ইউনিয়নসহ পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়। ঝিনাইগাতীতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজারসহ ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রানীশিমুল ও সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঢলের পানিতে অনেক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। আমনের খেত নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ঘে নিহত ৭
এদিকে, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল গণমাধ্যমকে জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নেতাই নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে আগামী দুদিনের মধ্যে এলাকার পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পুনর্নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: চলন্ত অবস্থায় ছুটে গেল ট্রেনের তিন বগি, ঢাকা ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন গণমাধ্যমকে জানান, যেসব এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি/এসবি