চাঁদাবাজির নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার জনবাণীর সাংবাদিক


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, ৫ই অক্টোবর ২০২৪


চাঁদাবাজির নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার জনবাণীর সাংবাদিক
আল জুবায়ের

রাজধানীর ধানমন্ডির-২ নাম্বার রোডে সিটি কলেজের পাশে ‘ধানমন্ডি ফার্মেসিতে’ দূর্বৃত্ত কর্তৃক চাঁদাবাজি ও দোকান ভাংচুরের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ঢাকা কলেজেরর এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও কিছু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 


শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিকের নাম আল জুবায়ের বাদশা। তিনি ঢাকা কলেজের দৈনিক জনবানীর ক্যাম্পাস রিপোর্টার। 


এসময় সেনাবাহিনী এসে ঘটনার আকস্মিকতায় ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করলে সাইন্সল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: রাবির অধ্যাপক মামুনকে সাময়িক অব্যাহতি


আহত সাংবাদিক আল জুবায়ের বলেন, আমরা আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে খবর পায় , ঢাকা সিটি কলেজের পাশে ধানমন্ডি ফার্মেসীতে কে বা কারা চাঁদাবাজি করছে শুনে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যায়। এরপর তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তারা রেগে যায় এবং চড়াও হয় আমাদের প্রতি। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে তারা হেলমেট পড়ে লাটিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। সে সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকের কার্ড গলায় দেখে আমার উপরে আক্রমন শুরু করে। কয়েকজন কিল-ঘুষি মারে, মাথায় আঘাত করে। ফলে মাথায় আর ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা পায়। কোনোরকম জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি । পরে আমার সহকর্মীরা ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।


ঘটনার ভুক্তভোগী ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী তাহসিন তৌয়েব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক পোস্টে বলেন, আসলে কি হয়েছিলো সাইন্সল্যবে?  রাত ১০ টার দিকে আমি টিউশনি শেষ করে হেটে ঝিগাতলায় বাসায় যাচ্ছিলাম। সিটি কলজের পাশে ধানমন্ডি ফার্মেসী নামে একটা দোকানে কিছু ছেলে হেলমেট মাথায় দিয়ে চাঁদাবাজি এবং ভাংচুর করছিলো সে সময় হঠাৎ আমার ফোনে কল আসলে কল রিসিভ করার সাথে সাথে একজন এসে ফোন নেওয়ার চেষ্টা করছে নিতে না পারলেও ১০/১৫ জন ঘিরে ধরে কার সাথে কথা বলছি জিগ্যেস করে এসময় কলার ও ধরা হয়।  আমি বললাম আমার ফ্রেন্ড কল দিছে ওর সাথে কথা বলছি। তখন তারা আমার পরিচয় জিগ্যেস করলে আমি বলি ঢাকা কলেজের ২০১৮-১৯ এর শিক্ষার্থী টিউশনি শেষ করে বাসায় যাচ্ছি তখন তারা আমাক বলে তারা ঢাকা কলেজের সিনিয়র জুলহাস ভাইয়ের রাজনীতি করে আবার ক্যাপ্টেন ইমন নামের একজনের কথা বলছে। আমি কার রাজনীতি করি? আমি উত্তর দিলাম আমি কারো রাজনীতি করি না আমি সাধারণ শিক্ষার্থী। এই বলে আমি সামনে আগালে সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে তাদের কাছে গিয়ে এই ঘটনা বললে উল্টো তারা আমাক গ্রেফতার করে গাড়িতে উঠায়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।


আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে রিকশা চালককে পুলিশে সোপর্দ


এই বিষয়ে জানতে ধানমন্ডি থানার ওসিকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


জেবি/এসবি