হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে কটুক্তির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫১ অপরাহ্ন, ৫ই অক্টোবর ২০২৪


হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে কটুক্তির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
ছবি: প্রতিনিধি

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকারী পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড-বক্তব্য নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছেন রাজারহাটের সর্বস্থরের ধর্ম প্রাণ মুসলমান ও ছাত্র-জনতা। সম্প্রতি ভারতের মহরাষ্ট্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শানে মানহানী করে বক্তব্য দেয় রামগিরি নামক এক উগ্রবাদী হিন্দু ধর্মাবলম্বী। 


তার বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার (২ অক্টোবর) এ সমাবেশের আয়োজন করে মুসল্লীরা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুম্মার নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে রাজারহাটের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সোনালী ব্যাংক চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। আলোচনা সভায় রাজারহাট ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বাজার জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাইফি, উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ওমর ফারুক বিল্লাহ, ইনসাফ কায়েম করি’ছাত্র সংগঠনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, অধিকার সচেতন ছাত্র সংগঠনের জেলা প্রচার সম্পাদক সোহানুর রহমান শামীম, শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কুড়িগ্রার জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মুরাদুল মমিনিন জালালি হুজুর।


আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্তে ৪ জন আটক 


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা ছাত্র আনজুমানে আল্ বাইয়্যিনাত এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কারী আহমদ তালুকদার। শেষে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। সমাবেশে ছাত্র-জনতারা বলেন,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কটুক্তি কারীকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক। ছাত্র-জনতার বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। 


যে রাষ্ট্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু। এটা বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বীকার করতে হবে। নেপালের হিন্দুরা ভারত বিরোধী হলে, বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারত বিরোধী হতে সমস্যা কোথায়? ভারতে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে এত বড় কটূক্তির ঘটনা ঘটে গেছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উচিত তাদের আসন্ন দূর্গা পূজায় এ ব্যাপারে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা এবং কটূক্তিকারীর শাস্তি দাবী করা। হিন্দুরা যে দেশদ্রোহী নয় তা প্রমাণের জন্য যারা অখন্ড ভারতের কথা বলে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াটা হিন্দুদেরই দায়িত্ব।


এমএল/