রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলা হয় ইয়াং স্কলার: উপাচার্য


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১৭ অপরাহ্ন, ৮ই অক্টোবর ২০২৪


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলা হয় ইয়াং স্কলার: উপাচার্য
ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইয়াং স্কলার বলা হয় বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। 


মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

অধ্যাপক নকীব বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইয়াং স্কলার বলা হয়। এটাই সঠিক সময় নিজেকে ও দেশকে গড়ার। কারণ আজকে তোমরা ক্যাম্পাসে মুক্ত পরিবেশ পেয়েছ, হলগুলো এখন নিরাপদ, মন খুলে চলাফেরা করতে পারছ। ২৪'র বিপ্লবের স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা যেন ২৪'র স্পিডকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।


আরও পড়ুন: শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপনকারী: রাবি শিবির সভাপতি


তিনি আরো বলেন, তোমাদের সাথে আমার পরিচয় হচ্ছে তোমরা ছাত্র আর আমি একজন শিক্ষক। ছাত্র পরিচয়টা অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাত্র পরিচয়ের সাথে একটা অসাধারণ অ্যাসপেক্ট জড়িত থাকে। ছাত্ররা শিখে এবং শেখার যে আনন্দ অর্থবহ জীবনে আর কিছু নেই। আমাদের প্রত্যেকের উচিত আজীবন এই ছাত্রত্ব বজায় রাখা। পৃথিবীতে যত রকমের আনন্দ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় আনন্দ হলো নতুন কিছু শেখা ও সেগুলো বুঝা। আর এটিই একটা মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। যতদিন পর্যন্ত একটা মানুষ শেখে ততদিন তার কোনো বার্দ্ধক্য নাই। যেদিন থেকে মানুষ নতুন কিছু জানতে বুঝতে ও চিন্তা করতে ভুলে যায় সেদিনই সে বার্ধক্য। আমি নিজেকে কখনো উপাচার্য মনে করি না ৷ কারণ একটা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আমাদের আবাসন সংকট বহু আগেকার একটা সমস্যা। সেটা উত্তরণে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা কাজ করছি।


সভাপতির বক্তব্যে অবাইদুর রহমান প্রামানিক বলেন, ভর্তি যুদ্ধ শেষে তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েছো। আমি আশা করি তোমাদের সামনের পথচলা অনেক সুন্দর হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষক যেমন ভালো ছাত্র তৈরি করে তেমনি ছাত্ররাও ভালো শিক্ষক তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আমাদের পড়তে হবে, যদি আমরা নাই পড়ি তাহলে শিখতে পারবো না। আর এর জন্য আমাদের লাইব্রেরি রয়েছে যা ইতোমধ্যে ডিজিটাল লাইব্রেরি হয়ে উঠেছে। আশা করি তোমরা লাইব্রেরিকে সঠিক ব্যবহার করবে।


আরও পড়ুন: ৮ দিনের ছুটিতে নোবিপ্রবি, চালু থাকবে হল-পরিবহন সেবা


অনুষ্ঠানে এছাড়াও প্রক্টর মাহবুবুর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক, জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 


পরবর্তীতে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। 


এমএল/